ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ ৫ শিক্ষার্থীর কারাদণ্ড

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ১০:১৩ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০১৮

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ার ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ ৫ শিক্ষার্থীকে দুই বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া একই ঘটনায় আরও ১৯ শিক্ষার্থীকে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

সোমবার দুপুরে রাজশাহীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে-৩ এর বিচারক সাইফুল ইসলাম এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. শামসুদ্দীন।

আইনজীবী মো. শামসুদ্দীন জানান, সাক্ষ্য প্রমাণে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিদের প্রত্যেককে পাবলিক পরীক্ষা দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মার্কেটিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেনের বাড়ি সাতক্ষীরায়। নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস। তার বাড়ি কুষ্টিয়া সদরের পশ্চিম মজমপুর এলাকায়।

এ দিকে আইন বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান আলীর বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলায়। এছাড়া বাকি দুইজনের নাম জানা যায়নি।

বাকি ১৯ জন হলেন, রাজশাহীর বাগমারার দক্ষিণ জামালপুরের মোস্তাফিজুর রহমান রনি, একই উপজেলার সাইধারার হোসেন আলী, বিষ্ণপুরের মতিউর রহমান, রক্ষিতপাড়ার ফিরোজুল ইসলাম, রাজশাহীর তানোর উপজেলার বনকেশর গ্রামের মিঠু রহমান, কাউসার হোসেন, ফারুক হোসেন ও আবদুস সালাম, রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জের আরিফুল ইসলাম, রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার সাকোয়ার মোত্তালেব হোসেন, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার রামচন্দ্রপুরের রুবেল আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার লাহাপুরের আমিনুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের নাগারপুর উপজেলার শাহজানীর আল আমিন, রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার হরিদাগাছির বেলাল হোসেন, একই উপজেলার ধোপাঘাটার ফিরোজ আহমেদ, বিহরীর সুমন রানা, চকবিহরীর ইলিয়াস সরদার, বিষহরা গ্রামের বৃষ্টি রানা, নওগাঁর মান্দা উপজেলার কটকতৈল মধ্যপাড়ার বুলবুল ইসলাম এবং একই উপজেলার সাটইলের সোহেল রানা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৮ জুলাই ডিগ্রির ইংরেজি (বিষয় কোড-৩০৬) পরীক্ষায় রাজশাহীর মোহনপুর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা পরীক্ষার্থীর পক্ষে প্রক্সি দিতে যান। কেন্দ্রের কক্ষ পরিদর্শকরা জানতে পারলে তা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত সচিবকে অবহিত করেন। এরপর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় ওই দিনই ভারপ্রাপ্ত সচিব কলেজের উপাধ্যক্ষ মকবুল হোসেন বাদী হয়ে পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে মোহনপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় আসামিপক্ষে ছিলেন, আইনজীবী আমজাদ হোসেন ও আকতারুল আলম বাবু। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এমএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।