উচ্চশিক্ষা যাতে সার্টিফিকেট সর্বস্ব না হয় : রাষ্ট্রপতি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাবি
প্রকাশিত: ০৬:৩৫ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮
ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকা এবং এগিয়ে চলার বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে কেউ যাতে প্রশ্ন তুলতে না পারে তাও নিশ্চিত করতে হবে। উচ্চশিক্ষা যাতে সার্টিফিকেট সর্বস্ব হয় কিংবা শিক্ষা যাতে বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত না হয় তা দেশ ও জাতির স্বার্থে সম্মিলিতভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এটা করতে না পারলে দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়বে এবং বিশ্ব প্রতিযোগিতায় আমরা পিছিয়ে পড়ব।

বিশ্ববিদ্যালয় মূলত মুক্তচিন্তা বিকাশের জায়গা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জ্ঞান চর্চা ও গবেষণার মধ্য দিয়ে এখানে নতুন নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তির জন্ম হয়। এসব জ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্রমেই সমগ্র বিশ্বের সম্পদে পরিণত হয়। এর ফলে পৃথিবী সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।

এদিকে দেশ ও জাতির উন্নয়নে রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক। তাই গণতন্ত্রের ভিতকে মজবুত করতে হলে দেশে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে। আর সেই নেতৃত্ব তৈরি হয় ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমেই। এক্ষেত্রে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের কোনো স্থান থাকবে না। ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্ব থাকবে ছাত্রদের হাতে। লেজুরবৃত্তি ও পরনির্ভরতার কোনো জায়গা থাকবে না। ছাত্র সমাজকে এ বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করা গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সবসময় নৈতিক মূল্যবোধ, বিবেক ও দেশ প্রেম জাগ্রত রাখবে। কখনও অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথানত করবে না। মনে রাখতে হবে সমাবর্তন শিক্ষার সমাপ্তি ঘোষণা করছে না বরং উচ্চতর জ্ঞানভাণ্ডারে প্রবেশের দ্বার উন্মোচন হয়েছে। তোমরা সেই জ্ঞান রাজ্যে অবগাহন করে বিশ্বকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

এসময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সমাবর্তন বক্তা আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দিন, রাবি উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা, চৌধুরী জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সালমান শাকিল/এমএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।