দিল্লিতে আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে যাচ্ছেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক গণ বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৪:৪২ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

‘মহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল কনগ্রেস অন মাল্টিডিসিপ্লিনারি স্টাডিজে’ স্পিকার হিসেবে যোগ দিতে ভারতের দিল্লি যাচ্ছেন সাহিত্যিক, তুর্কি স্কলারশিপ ফেলো ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সরোজ মেহেদী।

ইনস্টিটিউট অব ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড স্যোশাল রিসার্চস’র আয়োজনে দিল্লির হোটেল লিজেন্ড ইন এ অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনে ‘প্যারিস অ্যাটাক, রিসেন্ট স্টুডেন্ট মুভমেন্ট ইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড স্যোশাল মিডিয়া’ শিরোনামে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন তিনি। আগামী ২৫ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের গবেষক-শিক্ষাবিদরা যোগ দেবেন।

২০১৬ সালে দ্য বিথ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপলায়েড সায়েন্স-বার্লিন, জার্মানি, আকদেনিজ ইউনিভার্সিটি ও খোজায়েলি ইউনিভার্সিটি অব টার্কির যৌথ আয়োজনে সেকেন্ড ইন্টারন্যাশনাল কনগ্রেস অন মিডিয়া স্টাডিজে ‘অটপসি অব নিউ মিডিয়া ফ্রম আসপেক্ট অব স্যোশাল মিডিয়া’ শীর্ষক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের এই নবীন শিক্ষক। একই বছর স্লোভাকিয়ার কনস্টানটাইন দ্য ফিলোসোফার ইউনিভার্সিটি থেকে ‘দ্য এফেক্ট অব ইন্ডিয়ান পপ কালচার অন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় তার।

২০১৭ সালে ওআইসির অর্থায়নে সুদানের খার্তুমে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড মুসলিম ইয়ুথ সামিট অ্যান্ড এক্সিবিশানে ‘রোল অব ইয়ুথ ইন স্যোশাল মুভমেন্ট অ্যান্ড স্যোশাল মিডিয়া’, এবং একই বছর ইস্তানবুলের গেলিশিম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত থার্ড ইন্টারন্যাশনাল নিউ মিডিয়া কনফারেন্সে ‘স্যোশাল মিডিয়া অ্যান্ড ইটস ইমপোরটেন্স ইন মডার্ন এরা’ শীর্ষক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেহেদী।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারপারসন ও সোশ্যাল সায়েন্স ফ্যাকাল্টির সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. হেলেনা ফেরদৌসীর সঙ্গে যৌথভাবে রাশিয়া-টার্কি ক্ল্যাশ অ্যান্ড মিডিয়া ইন ২০১৫ : এ স্টাডি অন বাংলাদেশি জার্নালিস্টস’ শিরোনামে একটি গবেষণাকাজ সম্পন্ন করেন তিনি।

গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ও যোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক সরোজ মেহেদী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় পড়াকালীন দৈনিক ইত্তেফাকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০১৪ সালে দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করার সময় তিনি তুরস্ক সরকারের বৃত্তি নিয়ে ইস্তানবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে যান। পরে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফান্ড নিয়ে হাঙ্গেরির প্যাননিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও তুরস্কের কাদির হাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইউরোপিয়ান স্টাডিজের ওপরে দুটি ক্রেডিট প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেন।

২০১৭ সালে জার্মানির অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়ন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে বার্লিনে একটি আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামে যোগ দেন দিতনি। এ ছাড়া তিনি বেলজিয়াম, হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া, ইউক্রেন, তুরস্ক প্রভৃতি দেশে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামে যোগ দেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সরোজ মেহেদী বলেন, ‘এই গবেষণা প্রবন্ধে কীভাবে স্যোশাল মিডিয়া বিকল্প মিডিয়া হিসেবে মূলধারার গণমাধ্যমকে চ্যালেঞ্চ জানাচ্ছে তা তুলে ধরা হয়েছে। এ বিষয়টি দেখাতে গিয়ে আমি ২০১৫ সালে প্যারিসে জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএল’এর নারকীয় হামলা ও ২০১৬ সালে ভারতজুড়ে হওয়া ছাত্রবিক্ষোভকে কেস স্টাডি হিসেবে নিয়েছি। এ দুটি ঘটনাতেই আমরা দেখি, মূলধারার গণমাধ্যমগুলো সাধারণ মানুষের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বা তাদের মতামত তুলে ধরতে পারছে না নানা কারণে। তবে মানুষ কিন্তু বসে নেই। তারা তাদের মতামত তুলে ধরতে স্যোশাল মিডিয়ার মতো বিকল্প প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিচ্ছে। ফলে স্যোশাল মিডিয়া দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই যে স্যোশাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা, তা কিন্তু মূলধারার গণমাধ্যগেুলোর ওপর একটা বিশাল চাপ তৈরি করছে। তাদের পলিসি পরিবর্তনে বাধ্য করছে।’

জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।