ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনায় উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৩৪ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে উপাচার্য কার্য্যালয় সংলগ্ন আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে এ আলোচনা সভা শুরু হয়।

ঢাবি উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও উপস্থিত রয়েছেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামাল উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীসহ হল প্রাধ্যক্ষরা।

আরও রয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন প্রমুখ।

অন্যদিকে ছাত্রদলের পক্ষে আলেচনায় এসেছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব আহসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকী। এছাড়াও বাম সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের নেতারা উপস্থিত আছেন।

এদিকে আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ঢাবি উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে রিট দায়ের করা হয়েছে। গত বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এই রিট আবেদন করেন। রিটের বাকি বিবাদীরা হলেন- প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানি ও ট্রেজারার ড. কামাল উদ্দিন।

পরে মনজিল মোরসেদ জানান, আগামী রোববার (আজ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হতে পারে।

এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ডাকসু নির্বাচনের জন্য কোনো পদক্ষেপ না নেয়া ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামানসহ তিনজনকে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশে বলা হয়, আগামী সাতদিনের মধ্যে আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা না নিলে তাদের বিরুদ্ধে হাইকার্টে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে।

এর আগে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ৬ মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষকে এ আদেশ বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়। এছাড়া ডাকসু নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন আদালত।

ডাকসু নির্বাচনে পদক্ষেপ নিতে ৩১ শিক্ষার্থীর পক্ষে ২০১২ সালের ১১ মার্চ ঢাবি ভিসি, প্রক্টর ও ট্রেজারারকে লিগ্যাল নোটিশ দেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। ঢাবি কর্তৃপক্ষ ওই নোটিশের কোনো জবাব না দেয়ায় ওই বছরই ২৫ শিক্ষার্থীর পক্ষে রিট আবেদন করা হয়।

এরপর ৮ এপ্রিল হাইকোর্ট নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন করার ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। বিবাদী ছিলেন শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর।

রিট আবেদনে বলা হয়, ১৯৯৮ সালের ২৭ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ডাকসু নির্বাচনের পর এর সময়সীমা হবে এক বছর। পরে তিন মাস নির্বাচন না হলে বিদ্যমান কমিটি কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। এ সিদ্ধান্তের পর ডাকসু ভেঙে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য ১৯৯০ সালের ৬ জুলাই ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর পর দীর্ঘ ২৮ বছরে আর কোনো নির্বাচন হয়নি।

এমইউএইচ/এমএইচ/বিএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।