বৌদ্ধতত্ত্ববিদ সুকোমল বড়ুয়া বৃত্তি পেলেন ঢাবির ১০ শিক্ষার্থী

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২৩ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ’ বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ‘বৌদ্ধতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া বৃত্তি’ ২০১৬ ও ২০১৭ প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রমেশ চন্দ্র মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক ও সনদপত্র তুলে দেন।

বৃত্তি ২০১৬ পেয়েছেন লিপি আকতার, স্বপ্না রানী মণ্ডল, কে এম আফতাবুল ইসলাম তন্ময়, অর্পনা রায়, মোছা. স্নিগ্ধা ও প্রকট চাকমা।

২০১৭ সালের বৃত্তি পেয়েছেন মোছা. আশামনি আক্তার, মোজাহিদ হোসাইন, তরুন বিশ্বাস ও সুরাইয়া শারমিন।

‘বৌদ্ধতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া স্বর্ণপদক ২০১৫ ও ২০১৬’ প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন- শারমিন নাহার ও প্রকট চাকমা, তাদের সনদপত্র দেয়া হয়। আগামী ৫১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাদেরকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন এবং অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ধর্মমিত্র মহাস্থবির।

এছাড়া, করুণানন্দ ভিক্ষু উপস্থিত ছিলেন। পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া স্বাগত বক্তব্য দেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়ার কন্যা ফান্ডের দাতা সংঘমিত্রা বড়ুয়া মানসী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়ার জীবন নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়ার সংগ্রামী জীবনে ব্যতিক্রমী কিছু মূল্যবোধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি দায়বদ্ধতা ও নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য যে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে তা তার অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধের প্রকাশ।

অন্যান্য ধর্মের মত বৌদ্ধ ধর্মেও শিক্ষা ও দর্শনে মানবসমাজের জন্য একটি সার্বজনীনতা রয়েছে। সবার মধ্যে এই চেতনার বিকাশ ঘটবে এটিই আজকের দিনের প্রত্যাশা। শিক্ষার্থীদের সাফল্যের পেছনে পিতামাতার অবদানের জন্য তাদেরকেও অভিনন্দন জানান উপাচার্য। মেধাবী তরুণ প্রজন্ম সুন্দর দর্শন, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ভবিষ্যতে দেশ ও সমাজের কল্যাণের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে বলে উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন।

এমএইচ/এমআরএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।