রাবিতে শঙ্কা কাটেনি আন্দোলনকারীদের
নিরাপদ সড়ক আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হতে হেনস্থা বা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হওয়ার আংশঙ্কা থেকেই গেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
অভিযোগ রয়েছে আন্দোলনে অংশ নেয়া এবং সামনের সারিতে থাকা শিক্ষার্থীদের পিছু নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জানাচ্ছেন, বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সুমন মোড়ল বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের অনেকের বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করছে প্রশাসনের ব্যক্তিরা। অনেকে ভীতির মধ্যে আছেন যেন গ্রেফতার না হন। শিক্ষার্থীদের যেন কোনোভাবে হেনস্থা না করা হয় সে বিষয়ে আশা রাখব।
তবে বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত কোনো চাপ নেই জানিয়ে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থী শাকিলা খাতুন বলেন, নায্য একটা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলাম। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে এরই মধ্যে ৬ দফা দাবি দেয়া হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে আমাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তবে হামলা, আটকসহ কোনো ধরনের হেনস্থার বিষয়ে আমরা মোটেও শঙ্কিত নই। যদি এমন কিছু আমাদের উপরে আসে তাহলে সকলে একসঙ্গে ফেস করবো।
এর আগে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের অংশ হিসেবে সারাদেশের মতো আন্দোলনে নামেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচি হিসেবে, মানববন্ধন, র্যালি, প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলন ও মৌন মিছিল পালন করেন তারা।
পরে বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে আম চত্বরে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সেখান থেকে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে নৌমন্ত্রীর পদত্যাগসহ কিশোরদের চলমান আন্দোলনের দাবি বাস্তবায়ন করা, শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার করা, আলোকচিত্রী শহীদুল আলমের রিমান্ড বাতিলসহ নিঃশর্ত মুক্তি এবং আটক ছাত্রদের নিঃশর্ত মুক্তি, হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, চালক-স্টাফদের নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং শ্রমঘণ্টা ও বেতন নির্ধারণ করাসহ আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার রাষ্ট্রকে বহনসহ ৬ দফা দাবি জানিয়ে আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেয়া হয়। তবে দাবিগুলো মানা না হলে আবারও আন্দোলনে যাবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের নেত্রী শাকিলা খাতুন।
এমএএস/জেআইএম
