রোগীর গায়ে হাত : সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে সংঘর্ষে আহত ১৩
চিকিৎসায় গাফিলতির জের ধরে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে চিকিৎসক শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন। রোববার সকাল ১০টার দিকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ৪ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে জানা যায়, গুরুত্বর আহত শেকৃবির তিন শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের দুই ইর্ন্টান চিকিৎসকও আহত হয়েছেন। এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান। প্রায় ৩ ঘণ্টা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে আগারগাঁও থানা পুলিশ এসে পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ব্যাপারে রোগীর সঙ্গে সাংবাদিকদের কথা বলতে দেননি মেডিকেল প্রশাসন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শেকৃবি শিক্ষার্থী সাদিদ জানান, দুদিন ধরে আমার মা এই মেডিকেলের ৪ নং ওয়ার্ডের ১৮ নং বেডে আছেন। কিন্ত আমার মায়ের চিকিৎসা ভালোমতো হচ্ছে না। দায়িত্বরত নার্স ও ইন্টার্ন ডাক্তাররা চিকিৎসায় গাফিলতি করছিলেন। এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে তারা প্রথমে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। একর্পযায়ে এক ইর্ন্টার্ন ডাক্তার রোগীকে বেড থেকে বের করে দেন এবং রোগীর গায়ে হাত দেন। পরে ইন্টার্ন ডাক্তার, মেডিকেল স্টুডেন্ট ও স্টাফরা মিলে আমাদের ওপর আক্রমণ করে।
এদিকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেডিকেলে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তারা দায়িত্বরত ইন্টার্ন ডাক্তারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডাও করেন।
এ ব্যাপারে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সহকারী পরিচালক ড. কে এম মামুন মোর্শেদ জাগো নিউজকে বলেন, ব্যাপারটা গুরুতর কিছু নয়, তাদের সঙ্গে শুধু হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করব।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন এ ব্যাপারে জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিানুর রহমান লাঞ্ছিত হয়েছেন। আমরা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ব্যাপারটা সমাধানের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
জেডএ/পিআর