দৈত্যাকার মাশরুম উৎপাদন করলেন জাবি গবেষক


প্রকাশিত: ০৬:৪৪ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০১৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পিএইচডি গবেষক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন দৈত্যাকার মিল্কি মাশরুম আবাদ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক প্রফেসর ড. আবুল খায়েরের উপস্থিতিতে গবেষক আনোয়ার হোসেন তার পরীক্ষামূলক উৎপাদিত তিন কেজি ষোলো গ্রাম ওজনের বিশাল আকৃতির একটি মিল্কি মাশরুম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলামকে উপহার দেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক প্রফেসর ড. আবুল খায়ের বলেন, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন শুধু একজন পিএইচডি গবেষকই নন, তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা। কৃত্তিম উপায়ে তার এই দৈত্যাকৃতির ফলন বাংলাদেশে এই প্রথম।

বিশাল আকৃতির এই মাশরুমটি ট্রাইকোলোমাটেসি পরিবারভুক্ত বিশ্বের সবচেয়ে বৃহদাকার আবাদী মাশরুম। মাশরুমটির উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম ক্যালোসাইব ইনডিকা। আনোয়ার হোসেনের গবেষণার বিষয় বাংলাদেশের রাঙ্গামাটির পার্বত্য অঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো বিভিন্ন রকম মাশরুম শনাক্তকরণ। আনোয়ার হোসেন নিজ অর্থায়নে গড়ে তুলেছেন সম্ভাবনাময় মাশরুম স্পন (বীজ) উৎপাদনের জন্য ল্যাবরেটরি এবং মাশরুম গ্রিন-হাউজ। দীর্ঘ চার বছর ধরে গবেষণার পর তিনি তার গ্রিন হাউজে এই মাশরুম ফলাতে সক্ষম হন।

মাশরুমটি প্রাইমর্ডিয়া বা কুঁড়ি অবস্থায় ক্রিম-সাদা, পরে ক্রমশ দুধের মতো সাদা রং ধারণ করে। মাশরুমের ছাতাটির ব্যাস ৫ থেকে ২০ সেমি, এর স্টাইপ বা ছাতার দণ্ড ৫ থেকে ১০ সেমি এবং প্রস্থে ২ থেকে ৮ সেমি হয়ে থাকে।

মিল্কি মাশরুমে পর্যাপ্ত আমিষ, চর্বি, আঁশ, শর্করা এবং ভিটামিন থাকে। এতে থায়ামিন, রিবোফ্লাবিন, নিকোটিনিক এসিড, পাইরিডক্সিন, বায়োটিন, অ্যাসকরবিক এসিড থাকায় সম্পূরক খাবার হিসেবে এর গুরুত্ব অপরিসীম।

পাহাড়ী অঞ্চলেও আদীবাসীরা প্রাকৃতিক মিল্কি মাশরুম সংগ্রহ করে খেয়ে থাকে। প্রাকৃতিক এইসব মাশরুম নিয়েও কাজ করছেন এই গবেষক ও মাশরুম উদ্যোক্তা।

হাফিজুর রহমান/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।