প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি, তদন্ত কমিটি গঠন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক চবি
প্রকাশিত: ০৯:০৭ পিএম, ২২ জুলাই ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয় লণ্ডভণ্ড করার আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুই শিক্ষকের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামী ৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতেও বলা হয়।

অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন, সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাইদুল ইসলাম ও যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খ. আলী আর রাজী।

রোববার তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে.এম. নুর আহমদ বলেন, ১৯ জুলাই কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় আজ তদন্ত কমিটির সদস্যরা চিঠি পেয়েছেন। দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে, তা তদন্ত করে উপাচার্যের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এতে আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর এ বি এম আবু নোমানকে আহ্বায়ক, সহকারী প্রক্টর মিজানুর রহমানকে সদস্য এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. হাছান মিয়াকে সদস্য সচিব করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়কে লণ্ডভণ্ড করে দেয়ার অভিযোগে এনে তাদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ছাত্রলীগ।

পাশাপাশি তাদের চাকরিচ্যুতির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীকে একটি স্মারকলিপিও দেয় ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর টিপুর স্বাক্ষর রয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই গঠিত হলো তদন্ত কমিটি।

এদিকে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খ. আলী আর রাজীকে হুমকি ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন আয়োজনের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু মানববন্ধন শুরুর আগেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নেয়। এর আগে একই দিন সকাল ১০টার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ওই বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শ্রেণিকক্ষে গিয়ে মানববন্ধনে যোগ না দিতেও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা। তবে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত না হলেও শিক্ষার্থীরা মুখে 'কালো কাপড়' বেঁধে এর প্রতিবাদ জানায় এবং সাময়িকভাবে ক্লাস বর্জন করে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মনছুর আলম জাগো নিউজকে বলেন, কেউ যদি হুমকি দিয়ে থাকে তাহলে সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয়ে। তবে ছাত্রলীগের কেউ হুমকি দেয়নি।

আবদুল্লাহ রাকীব/এমএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।