চবিতে ২ শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ছাত্রলীগের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৭:০০ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৮

কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে চবি ছাত্রলীগ। ওই দুই শিক্ষক হলেন- সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম ও যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খ আলী আর রাজী।

মঙ্গলবার দুপুরে অবাঞ্চিত ঘোষণার পাশাপাশি অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার দাবিতে চবি উপাচার্যকে স্মারকলিপিও দিয়েছ ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মী।

স্মারকলিপির গ্রহণের বিষয়ে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেরা স্মারকলিপি দিতে এসেছিল। সেটি গ্রহণ করতে বলেছি তবে ব্যস্ততা থাকায় তা পড়ার সুযোগ হয়নি। আগামীকাল বিষয়টি দেখব।

এদিকে অবাঞ্চিত করার বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মনসুর আলম বলেন, আজ থেকে ক্যাম্পাসে দুই শিক্ষককে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

উপাচার্যকে দেয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে কটূক্তি করেছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশ ব্যাপী জামায়াত-শিবির ও বিএনপির যৌথ নীল নকশার অংশ হিসেবে শিক্ষক নামধারী জামায়াত-শিবিরের তাবেদার মাইদুল ইসলাম ফেসবুকে উষ্কানিমূলক স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদেরও উষ্কিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতীশীল করা পাঁয়তারা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছেন। তার এমন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিভাগীয় সভাপতির কাছে নালিশও দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিশেষ সার্কুলারের মাধ্যমে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের অভিযোগ তোলা হয় তার বিরুদ্ধে।

cu1

এদিকে একই স্মারকলিপিতে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খ. আলী আর রাজী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের সুকৌশলে সহিংসতার মাধ্যমে ‘লণ্ডভণ্ড’ করে দেয়ার উষ্কানি দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের মূল এজেন্ট উল্লেখ করে বলা হয়। তিনি ছাত্রদের তার কক্ষে ডেকে নিয়ে গিয়ে নিয়মিত সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি বিভাগীয় সভাপতি থাকাকালে তার নানা অনিয়ম ও অনৈতিকতার বিষয়ও স্মারকলিপিতে জানানো হয়।

তবে এসব বিষয়ে জানতে দুই শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। তবে ইতোমধ্যেই সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মাইদুল ইসলাম ছাত্রলীগের হুমকির ভয়ে ক্যাম্পাসের নিজ বাসা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আবদুল্লাহ রাকীব/আরএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।