ঢাবিতে ছাত্রীসহ দু’জনকে ছাত্রলীগের মারধরের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীসহ দু’জনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মারধরের শিকার দুইজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান ও লীনা। মাস্টার দ্য সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদেরকে মারধর করেছন বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, আসাদুজ্জামান ও লীনা শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের (রেজিস্টার বিল্ডিং) সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা একটি রিকশা ডাকছিলেন কার্জন হলের যাওয়ার জন্য। এ সময় সূর্যসেন হলের ১০-১২ ছাত্রলীগকর্মী তাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। ওই দুই শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিনা জানতে চান ও প্রমাণের জন্য আইডিকার্ড দেখতে চান।
তারা আইডি কার্ড দেখানোর এক পর্যায়ে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আসাদুজ্জামানকে মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় লীনা তাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। প্রতিবাদ করলে সূর্যসেন হলের ভেতরে ভুক্তভোগীদের দ্বিতীয় দফায় মারধর করা হয়। এ সময় লীনার পায়ের বুড়ো আঙুলের নখ ওঠে যায়।
এদিকে মারধরের শিকার শিক্ষার্থীরা প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী ঘটনার বিষয়ে মুঠোফোনে অভিযোগ করলে প্রক্টর উল্টো তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করে শাসিয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল এসে ভুক্তভোগীদের বক্তব্য শোনেন। ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে ভুক্তভোগীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর একটি দরখাস্ত লিখতে বলেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমি তাকে বলেছি এতো দেরি করে কেন আমাকে জানিয়েছে। দ্রুত জানালে তো দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারতাম।’
এ বিষয়ে অধ্যাপক মাকসুদ কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটি সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদন অনুসারে আমরা বিচার করব। হলের সিসি টিভির ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করা হবে।’
এমএইচ/আরএস