চারদিন ধরে কর্মবিরতিতে গণস্বাস্থ্য মেডিকেলের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা
চতুর্থদিনের মতো কর্মবিরতিতে রয়েছেন সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা। মোট ৬টি দাবিতে গত বুধবার (৪ জুলাই) থেকে তারা কর্মবিরতি পালন করছেন।
শনিবার (৭ জুলাই) কর্মবিরতিতে থাকা শিক্ষানবিস চিকিৎসকরা গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ডা. লায়লা পারভিন বানু, রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ফরিদা আদিব খানম বরাবর পুনরায় স্মারকলিপি দেন। পরে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মিজানুর রহমানের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। এ সময় পরিচালক বের হয়ে এসে শিক্ষানবিস চিকিৎসকদের তার কক্ষের সামনে বসতে বাধা দেন এবং উঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীরা বসে পড়ে পরিচালকের রুম অবরোধ করে রাখেন ।
এমন পরিস্থিতিতে কর্মবিরতিতে থাকা শিক্ষানবিস চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালের পরিচালক আমাদের অভিভাবক। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। কোনো পক্ষই আমাদের বিষয়টি নিয়ে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. মিজানুর রহমান জানান, আমি ওদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার কেউই না। ওদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতনরা। আমার কাজেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কারও বেতন বাড়ানো আমার ক্ষমতার মধ্যে নেই।
কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের সিদ্ধান্তে না আসতে পারায় হাসপাতালের রোগীরা পড়েছেন বিপাকে। হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, প্যারামেডিকদের সহায়তায় চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। একজন প্যারামেডিকেল কর্মী কতটুকু নির্ভুল চিকিৎসা দিতে পারবেন, এমন চিন্তাও জেগে উঠেছে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অনেক রোগীর স্বজনের মনে।
শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, মাসিক ভাতা বৃদ্ধি, প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ করা, ভাতা হতে থাকা-খাওয়া বাবদ খরচ বাধ্যতামূলকভাবে কর্তন না করে শুধু যারা হোস্টেলে থাকবে তারা যেন আলাদাভাবে পরিশোধ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করা।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দেয়া থেকে তারা বিরত থাকবেন বলেও জানিয়েছেন কর্মবিরতিতে থাকা শিক্ষানবিস চিকিৎসকরা । তবে ইমার্জেন্সিতে কোনো রোগী আসলে তাদের সবপ্রকার সেবা নিশ্চিত করছেন তারা।
জেডএ