শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হলে দায় প্রশাসনকে নিতে হবে

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী মশিউর রহমানসহ ১০ ছাত্রকে আটকের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নেহাল করিম। তিনি বলেছেন, আটকদের না ছাড়ার কারণে বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হলে তার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মশিউর রহমানের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ সময় মশিউরের সহপাঠিরা তাকে ছাড়া ক্লাসে ফিরবে না বলে ঘোষণা দেন। এতে বিভাগটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও মশিউরের বাবা-বোন অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল করিম, সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক রুশদ ফরিদী, আন্তর্জাতিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান।

jagonews24

মানববন্ধনে অধ্যাপক নেহাল করিম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে বলতে পারি, আমাদের কোনো ধরনের খবর না জানিয়ে, আমাদের ছাত্রদেরকে জেলহাজতে নিয়ে যাবে সেটা কাম্য না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমি কর্তৃপক্ষকে বলব, অনতিবিলম্বে মশিউরকে ফিরিয়ে দিতে। এটা না করলে হয়তো বিভাগের শিক্ষা কার্যকম ব্যাহত হবে, সামগ্রিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর প্রভাব পড়বে। আমরা শান্তিতে বসবাস করতে চাই।’

মানববন্ধনে বিভাগের ছাত্রী তিথী বলেন, ‘মশিউর আমাদের সহপাঠী ও নিয়মিত শিক্ষার্থী। সে আমাদের সঙ্গে ক্লাসে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাস করব না।’

jagonews24

সমাজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, ‘আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের বিরুদ্ধে হওয়া সহিংসতার বিরুদ্ধে। সেই দাবিও যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে জানানোর পরিস্থিতি না থাকে, তাহলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে এটা সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। আমি ভাবিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্রকে মানববন্ধনে দাঁড়ানোর প্রতিবাদে তাকে নির্মমভাবে পেটানো হবে। অহিংস আন্দোলনের বিরুদ্ধে সহিংসতা করে আপনারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাবমূর্তি মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছেন।’

এমএইচ/এসআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।