কোটা আন্দোলন ঠেকাতে সকাল থেকেই মাঠে ছাত্রলীগ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ০৫:৫০ পিএম, ০২ জুলাই ২০১৮

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলন ঠেকাতে সকাল থেকেই দলীয় টেন্টে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে কোটা আন্দোলনকারীরা মাঠে নামতে পারেনি বলে জানা গেছে। এদিকে কোটা আন্দোলনকারী তিন নেতাকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাত্রদের চারটি আবাসিক হল থেকে সকল শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক দলীয় টেন্টে নিয়ে আসে ছাত্রলীগ নেতারা। হলে থাকতে হলে টেন্টে আসতে হবে এমন হুমকিও দিয়েছে সাদ্দাম হোসেন ও লালন শাহ হল ছাত্রলীগ নেতারা। এ সময় অনেক বিভাগের ক্লাস থাকলেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশ নিতে দেয়নি নেতারা।

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক জিয়া হল, সাদ্দাম হোসনে হল ও লালণ শাহ হলের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, সকালে ঘুম থেকে তুলে দলীয় টেন্টে নিয়ে আসে। যথাসময়ে আসতে না পারায় অনেককে হল থেকে বের করে দেয়ার হুমকিও দেয়। এ সময় ক্লাস আছে বললেও ক্লাসে যেতে দেয়নি ছাত্রলীগের হল নেতারা।

এ দিকে বেলা ১১টার পর থেকেই ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র মৈত্রীর টেন্টকে কেন্দ্র করে জড়ো হয় কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তাদেরকে একত্রে দাঁড়াতে পর্যন্ত দেয়নি ছাত্রলীগ নেতারা। প্রকাশ্যে তাদেরকে মারধরের হুমকি দেয় তারা। একপর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও কোটা আন্দোলনকারীদের সংগঠক জি কে সাদিককে অনুষদ ভবনের নিচ তলায় নিয়ে গিয়ে আন্দোলন না করতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম।

এ দিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদুস সালেহিন অভিকে কলার চেপে ধরে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয় সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী বিপুল খান। এছাড়াও অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের জুনায়েদ নামের এক আন্দোলনকারীকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের এক কর্মী।

কোটা আন্দোলনকারী একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা সকাল থেকেই আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম কিন্তু ছাত্রলীগ নেতাদের প্রকাশ্য হুমকিতে মাঠে নামতে পারিনি। ছাত্রলীগ ও গোয়েন্দা পুলিশ আন্দোলনকারীদের লিস্ট তৈরি করেছে। এতেও ভয়ে রয়েছে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী। তবে আমরা আগামী দিনগুলোতে যে কোনো মূল্যে কেন্দ্রের কর্মসূচি পালন করব।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম বলেন, কোটা আন্দোলনকারীরা তো মাঠেই আসেনি। তাদের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত হয়নি, হুমকি তো পরের কথা। আন্দোলন ঠেকাতে মাঠে ছিলাম বিষয়টি এমন নয়। আমাদের কর্মীরা টেন্টে অবস্থান নিয়েছে নিয়মিত দলীয় কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে।

ফেরদাউসুর রহমান সোহাগ/আরএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।