বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান মুন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ১০:৪৫ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৮

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন কবি সুফিয়া কামাল হলের ঘটনায় ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক ও হলটির সাবেক সভাপতি খালেদা হোসেন মুন।

তিনি বলেন, জাতির জনক ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার আদর্শের ছাত্রলীগ নিয়ম না মেনে আমাকে কীভাবে বহিষ্কার করলো তার জবাব বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে করে তিনি এ দাবি জানান।

মুন বলেন, কবি সুফিয়া কামাল হলের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটি আমার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেননি। আমার কোনো বক্তব্যও নেয়নি। ফলে আমি দোষী না নির্দোষ বা আমি কী দোষ করেছি তা নিয়ে অন্ধকারে রয়েছি। ঘটনার প্রকৃত যারা দোষী আমি তাদের শাস্তি দাবি করছি। কিন্তু যে ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই সেখানে একটি অসম্পূর্ণ তদন্তে আমাকে দোষী সাব্যস্ত করে অগঠনতান্ত্রিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি ঘটনার সময় হলেই ছিলাম না। দীর্ঘ এক বছর ধরে হলের বাইরে আছি। কীভাবে আমার সম্পৃক্ততা পেয়েছে, আমি জানি না। একটা মেয়ে ভারতে থেকেও বহিষ্কার হয়েছে। অনেকের বিভাগের নাম ভুল রয়েছে। অনেকের পূর্ণ নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাহলে কীভাবে কমিটি তদন্ত করল- প্রশ্ন করেন তিনি।

মুনসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২৪ জনকে গত সোমবার (১৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। সোমবার রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, ১০ এপ্রিল রাতে কবি সুফিয়া কামাল হলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জড়িত থাকার কারণে তাদের স্থায়ীভাবে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের জেরে ১০ এপ্রিল দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ ওঠে। কবি সুফিয়া কামাল হলে মেয়েদের মারধর করার অভিযোগও করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, হল ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশার ৩০৭ নম্বর রুমে মারধর চলছে। হলের এক শিক্ষার্থীর মাথায় সেলাই দেয়া হয়েছে। দুই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওই অভিযোগ ওঠার পর হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল হলটির সভাপতি ইফপাত জাহান এশাকে। পরে ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।

এদিকে সাধারণ ছাত্রীদের ওপর হামলার অভিযোগে সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশাকে মারধর ও হেনস্তার ঘটনায় জড়িত ২৬ জনকে চিহ্নিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। ইতোমধ্যে তাদের শোকজ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার এই সিদ্ধান্ত হয়।

এমএইচ/জেডএ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।