‘এ দেশের নদীও মুক্তিযোদ্ধা’
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে প্রতিরক্ষা কৌশলে অবদান রেখেছে বাংলাদেশের নদ-নদী ও খাল-বিল। মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে নদীগুলোও হয়ে উঠেছিল মুক্তিযোদ্ধা। যা পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় ত্বরান্বিত করেছিল।
সোমবার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে(বেরোবি) রিভারাইন পিপল আয়োজিত ‘নদী রক্ষায় তরুণদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।
তিনি বলেন, নদী দখলকারীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। রংপুর বিভাগের জেলা প্রশাসকদের সভা করে নির্দেশনা দিয়েছি নদীর পাড়ের সমস্ত অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিতে। প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনা আমাদের নদী রক্ষা করতেই হবে।
এ সময় বক্তারা বলেন, নদীবন্দরে মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডোদের পরিচালিত অপারেশন ‘জ্যাকপট’ পাকিস্তানি বাহিনীর নৌশক্তি ভেঙে দিয়েছিল। সেপ্টেম্বরে হানাদারদের রসদবাহী জাহাজে হামলা এবং ডিসেম্বরে অপারেশন ‘হটপ্যান্টস’ তাদের নৌশক্তি বিধ্বস্ত করে দেয়।
যে নদী স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল; সে নদীই এখন দখল-দূষণের কবলে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যারা যুদ্ধে গিয়েছিলেন তাদের অধিকাংশের বয়স ত্রিশের নিচে ছিল। তাই এবার নদী রক্ষার যুদ্ধে তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে।
রিভারইন পিপল বেরোবির আহ্বায়ক উমর ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও রিভারাইন পিপলের পরিচালক ড. তুহিন ওয়াদুদ।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য আলাউদ্দিন, অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান, অধ্যাপক সাইদুল হক ও সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিক আশরাফ।
আলোচনা পর্বে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াদুদ সাদমান নদী বিষয়ক একটি হটলাইন নম্বর চালুর দাবি জানান। যাতে করে নদী দখল দূষণ হলে যেন সরকারের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে খবর পৌঁছে দেয়া যায়।
সবশেষে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান উপস্থিত সবাইকে নদী রক্ষার জন্য শপথ বাক্য পাঠ করান।
সজীব হোসাইন/এএম/পিআর