মামলার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টরকে অবরুদ্ধ ও ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৫০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীর পদত্যাগ দাবি করছেন তারা।
মামলা করার খবর প্রকাশ হওয়ার পর গতরাত সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। টিএসসি থেকে মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাস ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে আবারও টিএসসি এসে মিছিলটি শেষ হয়।
এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মাসুদ আল মাহদী বলেন, ‘আমাদের আগের তিনটি দাবির সঙ্গে নতুন দাবি যুক্ত হয়েছে, সেটি হচ্ছে প্রক্টরের পদত্যাগ। ছাত্রীদের ওপর যৌন নিপীড়নের বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে, এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতার চরম বহিঃপ্রকাশ। প্রক্টর পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
এদিকে রাত থেকে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে দুইজন ছাত্র প্লাকার্ড বহন করে নিজেদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন। এরপর সকালে তাদের সঙ্গে আরও ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী যোগ দেন।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তুহিন কান্তি দাস জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের পূর্বে তিনটি দাবির সঙ্গে প্রক্টরের পদত্যাগ যোগ হয়েছে। প্রক্টর মামলা প্রত্যাহার ও পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ঢাবি অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজ বাতিলের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনকারী ছাত্রীদের উত্ত্যক্তকরণ, আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ককে উপাচার্যের কার্যালয়ে মারধর এবং অন্যান্যদের হেনস্তার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ছাত্রলীগকে ডেকে এনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর লেলিয়ে দেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে গত বুধবার ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাদের বিচার চেয়ে প্রক্টরের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ভাঙচুর করা হয় প্রক্টর কার্যালয়ের সামনের কলাপসিবল গেট। পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয় প্রক্টর গোলাম রব্বানীকে। এক পর্যায়ে প্রক্টর অপরাগতা স্বীকার করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কার্যালয়ে চলে যান এবং আন্দোলনকারীদেরও সেখানে চলে যেতে বলেন। পরে উপাচার্যকে ৪৮ কর্মঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলনকারীরা ওইদিনের কর্মসূচি শেষ করেন।
তবে ওই ঘটনায় গতকাল (বৃহস্পতিবার) শাহবাগ থানায় অজ্ঞাতনামা ৫০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।
এমএইচ/আরএস/এমএস