ডাকসুর উদ্যোগ উপাচার্যকেই নিতে হবে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাবি
প্রকাশিত: ০১:২৮ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু শিক্ষা কার্যক্রম ও শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্যই ডাকসু নির্বাচন প্রয়োজন। আর এ উদ্যোগটি উপাচার্যকেই নিতে হবে। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ডাকসুসহ সব ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন আয়োজিত উন্মুক্ত সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জিএম জিলানী শুভর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য শিক্ষাবিদ ড. আনোয়ার হোসেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মনসুর, ডাকসুর সাবেক জিএস মোরশেদ আলী, আরেক সাবেক জিএস ডা. মোস্তাক হোসেন, ডাকসুর সাবেক সদস্য ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, রাকসুর সাবেক ভিপি রাগীব আহসান মুন্না, চাকসুর সাবেক ভিপি শামসুজ্জামান হীরা, ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে ১৪ দিন অনশনে থাকা ওয়ালিদ আশরাফ প্রমুখ।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘পানি ওপর থেকে নিচের দিকে আসে। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে হয়েছে ভিন্ন। দুর্ভাগ্যজনক, আমাদের প্রকৃত গণতন্ত্রায়ন এখনও হয়নি। ক্রমাগত অধিকতর অগণতান্ত্রিকতার দিকেই আমরা গিয়েছি। অনেকে বলেন ডাকসু নির্বাচন দিলে মারামারি-হানাহানি হবে। তাদের আমি একটু খোঁজ নিতে বলবো, যখন ডাকসু সচল ছিল তখন বেশি হানাহানি হয়েছে, নাকি গত ২৭ বছরে বেশি হয়েছে। আবার অনেকে বলেন ভবিষ্যতে জাতীয় নেতৃত্ব তৈরির জন্যই ডাকসু নির্বাচন দরকার। এই দৃষ্টিভঙ্গিও সর্বাংশে সঠিক নয়। শ্রমিক আন্দোলন বা অন্য কোনো আন্দোলন থেকেও নেতা তৈরি হতে পারে। ডাকসু দরকার ছাত্রদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্যই’।

অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের অন্যতম অনুষঙ্গ ছাত্র সংসদ নির্বাচন। সরকার ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাধা দেয়, এটা ভ্রান্ত ধারণা। নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে হবে উপাচার্যকে। ছাত্র সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যকেও। কেউ বিরোধিতা করছেন না। আদালতের নির্দেশনা আছে, রাষ্ট্রপতির সম্মতি আছে, শিক্ষার্থীরা চান-ডাকসু নির্বাচন হতেই হবে। শিক্ষার্থীদের এই দাবিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে এমনকি যদি মৃত্যুও আসে। কারো মৃত্যুর কারণে যদি অধিকারের প্রতিষ্ঠা ঘটে, তবে মৃত্যুই কাম্য।

এমএইচ/এমআরএম/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।