১৫ দিনে এসে অনশন ভাঙলেন ওয়ালিদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবিতে গত ২৫ নভেম্বর থেকে অনশনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্য কোর্সের শিক্ষার্থী ওয়ালিদ আশরাফ অবশেষে তার অনশন ভেঙেছেন।
শনিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এস এম মাকসুদ কামাল কলা আর পানি খাইয়ে তার অনশন ভাঙান।
পানি ও কলা খাওয়ানোর আগে উপাচার্য আখতারুজ্জামান আশরাফকে ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে গত ২৫ নভেম্বর অনশন শুরু করেন ওয়ালিদ আশরাফ। বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলো সংহতি জানায় ওয়ালিদ আশরাফের অনশনে। বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরাও সমর্থন দেন ওয়ালিদ আশরাফকে।
ওয়ালিদের অনশনের বিষয়ে জানতে চাইলে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী জাগো নিউজকে বলেছিলেন, ‘সে অনশন করার আগে আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি। হঠাৎ করেই সে অনশন করছে। তাই তাকে নিয়ে আমাদের ভাবনা নেই। তার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ আছে। সে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কনসার্ন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও কনসার্ন।’
ওয়ালিদের অনশন শুরুর পর বাম সমর্থিত কয়েকটি ছাত্র সংগঠনসহ কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময় স্মৃতি চিরন্তন এলাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সামনে, উপ-উপাচার্য ভবনের সামনে এবং ভবনের গেটে (সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক এখনও উপাচার্য ভবন না ছাড়ায় বর্তমান উপাচার্য আখতারুজ্জামান উপ-উপাচার্য ভবনে থাকছেন) নানা ধরনের ‘কুরুচিপূর্ণ’ শব্দ লেখে ডাকসুর দাবি করেন। যার মধ্যে একটি ছিল, ‘ডাকসু দে হারামজাদা।’
এ ধরনের বাক্য ব্যবহারের জন্য সমালোচিত হয় ওয়ালিদ আশরাফের অনশন।
এমএইচ/এনএফ/এমএস