বাকৃবির হলে মাদকের আসর

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বাকৃবি
প্রকাশিত: ০৭:১৫ এএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৭
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্রমেই মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত হচ্ছে। দামে কম ও সহজলভ্য হওয়ায় হাতের নাগালেই মিলছে গাঁজা, মদ, হেরোইন ও ইয়াবা। ছাত্রদের আবাসিক ৯টি হলে প্রায় প্রতি রাতেই বসছে মাদকের আসর। অভিযোগ রয়েছে হলগুলোতে প্রকাশ্যে মাদকের আসর বসলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না প্রশাসন।

জানা গেছে, ফোন করলেই হেরোইন দিয়ে যায় ডিলাররা। তবে বর্তমান সময়ে মাদকসেবী ছাত্ররা ইয়াবা সেবনের প্রতি বেশি ঝুঁকেছে। প্রতিটি ট্যাবলেট মিলছে ৩০০-৩৫০ টাকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর সিনিয়রদের সঙ্গে সিগারেট ফুকতে ফুকতে একসময় মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে নবীন শিক্ষার্থীরা।

ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী শেষ মোড়, পাগলার বাজার, ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়, কেওয়াটখালী ও ময়মনসিংহ শহরের বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক প্রবেশ করে। পরে তা ক্যাম্পাসের জব্বারের মোড়, শেষ মোড়, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের খামার, ফজলুল হক হলের পিছনের পুকুর পাড় সংলগ্ন রাস্তা, পোল্ট্রি ও ডেয়রি ফার্ম সংলগ্ন রাস্তা, ব্যাচেলর কোয়ার্টারসহ বিভিন্ন স্থানে লেনদেন হয়ে থাকে। এভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ৯টি হলে দেদারছে ঢুকছে মাদকদ্রব্য।

জানা যায়, মাদকাসক্তরা প্রতি পোটলা গাঁজা কেনে ৪০-৬০ টাকায়। কয়েকজন মিলে একসঙ্গে গাঁজা কিনে কক্ষের ভেতরেই আসর বসায়। আবাসিক হলের ছাদ, ক্যাম্পাস পার্শবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়, ব্যাচেলর কোয়ার্টার, খামারসহ বিভিন্ন স্থানে বসে এ আসর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল, জামাল হোসেন হল, ফজলুল হক হল, শামসুল হক হল এবং আশরাফুল হক হলে প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন কক্ষে গাঁজা ও ইয়াবার আসর বসে। পিছিয়ে নেই ঈশা খাঁ হল ও শহীদ নাজমুল আহসান হল। তবে সপ্তাহের ছুটির দিনে এটি আরো জমে ওঠে। অনেক সময় বহিরাগতদের নিয়েও বসে মাদকের আসর। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় এ নিয়ে অভিযোগ করলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইয়াবাসেবী শিক্ষার্থী বলেন, গাঁজা ও হেরোইন থেকে ইয়াবা সেবনে বেশি নেশা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাকৃবি প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ শিক্ষক বলেন, মাদকের বিষয়টি আসলে সবারই জানা। সর্ষের মধ্যেই যদি ভুত থাকে তাহলে ভুত তাড়ানো যায় না।

এবিষয়ে বাকৃবি প্রক্টর অধ্যাপক ড.মো. আতিকুর রহমান খোকন বলেন, মাদক ঠেকাতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ময়মনসিংহ শহরের পুলিশ প্রশাসন ও গোয়েন্দা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সকলের সহযোগিতা ছাড়া মাদক নির্মূল সম্ভব না।

শাহীন সরদার/এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।