চবিতে নতুন নেতৃত্ব খুঁজছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৩:৫৩ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৭

মেয়াদোত্তীর্ণ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের হাল ধরতে নতুন নেতৃত্ব খুঁজছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। পাশাপাশি এ নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে তুলে নেয়া হবে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ওপর বহাল থাকা স্থগিতাদেশ। ফলে স্বাভাবিক নিয়মেই বিলুপ্ত হবে টিপু-সুজনের ২৬১ বিশিষ্ট কমিটি।

সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রলীগের মধ্যে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা ও দীর্ঘদিন যাবৎ এই ইউনিটে রাজনৈতিক স্থবিরতার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন।

ছাত্রলীগের কাণ্ডারি এ নেতা বলেন, আমরা নতুন কমিটি দিয়ে দেব। সেটার জন্য আমাদের কথাবার্তা চলছে। আমরা খুঁজছি, ভালো কোনো ছেলে দেখে আমরা কমিটি দিয়ে দেব।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে ২০১৫ সালে আলমগীর টিপুকে সভাপতি ও এইচ এম ফজলে রাব্বী সুজনকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্র থেকে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পর পর দুই বার দলীয় সংঘর্ষ-সংঘাত ও ইউনিটকে গতিশীল করতে এ কমিটির কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ জারি করে কেন্দ্র।

শুধু তাই নয়, স্থগিতাদেশ বহালের মধ্যে মেয়াদও শেষ করে এ কমিটি। ফলে সুনির্দিষ্ট নেতা না থাকা ও স্থগিতাদেশের কারণে দলীয় কর্মসূচি বিহীন সময় কাটাতে হচ্ছে এ ইউনিটের কর্মীদের। তাছাড়া নিয়ন্ত্রণ না থাকায় তুচ্ছ ঘটনায় সংঘাতে জড়াতেও দ্বিধাবোধ করছে না তারা।

প্রকাশ্যে মারধর ও রাজনীতির মাঠে সক্রিয় থাকলেও এ শাখার নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে টেন্ডার বাণিজ্যে জড়িত থাকারও অভিযোগ রয়েছে। মূলত এসবে নিজেদের আর্থিক স্বার্থ নিশ্চিত করতে নিজেদের আধিপত্য জানান দেয় বিভিন্ন গ্রুপ-উপগ্রুপ। এতে করে দলীয় ইমেজ হারাচ্ছে ছাত্রলীগ।

এসব বিষয়ে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির জাগো নিউজকে বলেন, ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া থেকেই সংঘর্ষ হয়ে থাকে। এসব কারণে চবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে যে কমিটি আসবে, এর ফলে আগের কমিটি স্বাভাবিকভাবেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এ মুহূর্তে সম্ভাব্য ক্যান্ডিডেটদের (প্রার্থী) বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার আর্জেন্টিনার খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে পাঁচ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়। এছাড়া বৃহস্পতিবার দলীয় কর্মীকে মারধরের জেরে ভিএক্স ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থানে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।

আবদুল্লাহ রাকীব/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।