ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে যবিপ্রবির হলে হামলা : আহত ৩০
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শহীদ মশিয়ুর রহমান হলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসানের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে এ অতর্কিত হামলা, গুলিবর্ষণ, বোমাবাজি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে হলের অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৯ জনকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস, শিক্ষার্থী সৌরভ হোসেন, মামুন হোসেন, ইদ্রিস আলী, তুহিন হাওলাদার, শরিফ হোসেন, রাসেল পারভেজ, তানভীর হোসেন, খায়রুল খন্দকার, মেহেদি হাসান মোহন, হিমেল, তৈয়বুর রহমান, জাকারিয়া, নাসিম হাবিব, শাহিনুর রহমান, রায়হান উদ্দিন, অমিত কুমার হাজরা ও জসিম উদ্দিন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসানের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন বহিরাগত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী শহীদ মশিয়ুর রহমান হলে হামলা চালায়। এসময় শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে শতাধিক ল্যাপটপ, আইফোন ও তিন শতাধিক মোবাইল ফোন লুট করে সন্ত্রাসীরা।
একইসঙ্গে বেদম মারপিট করা হয়েছে। এতে অন্তত ৩৫-৪০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সন্ত্রাসীদের ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় হলের শিক্ষার্থীরা আতংকিত হয়ে পড়ে। পরে তারা প্রতিরোধ গড়ে তুললে পুলিশ এসে হামলাকারীদের নিরাপদে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।
জানতে চাইলে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস বলেন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসানের নেতৃত্বে হলে ডাকাতি করা হয়েছে। অস্ত্রধারী বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে লুটপাট ও শিক্ষার্থীদের বেদম মারপিট করা হয়েছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পুলিশও সহায়তা করেছে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে মুঠোফোনে কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা জানান, ক্যাম্পাসের পরিবেশ বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। বৃহস্পতিবার রাতে হলে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। পরে হলের শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
তিনি দাবি করেন, পুলিশ এসে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণ করে। তবে হামলাকারীদের পুলিশের সহায়তার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মিলন রহমান/এফএ/এমএস