ঢাবি শিক্ষক সমিতির বিবৃতি জানেন না সভাপতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের বিশেষ অধিবেশন চলাকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা এবং তা নিয়ে বিভিন্ন মহলের ব্যাখ্যা ও কৌতূহল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টির অপপ্রয়াস বলে দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিসের মেইল থেকে সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য এবং সুষ্ঠু পরিবেশকে গণতান্ত্রিক দাবির নামে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে পাঁয়তারা পরিলক্ষিত হচ্ছে তা নিন্দনীয় এবং কোনোভাবেই কাম্য নয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা মর্মাহত ও উদ্বিগ্ন।

এর আগে সোমবার রাতে শিক্ষক সমিতির এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। এদিকে শিক্ষক সমিতির প্যাডে পাঠানো এ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষক সমিতির জরুরি সভা সভাপতির সঙ্গে পরামর্শ করে আহ্বানের কথা থাকলেও তা করা হয়নি। সাধারণ সম্পাদক নিজ দায়িত্বে এ সভা আহ্বান করেন এবং সভাপতিকে সভার সময় জানিয়ে দেন বলে দাবি করেছেন সভাপতি এ এস এম মাকসুদ কামাল। পারিবারিক প্রোগ্রাম থাকায় সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক আহূত জরুরি সভায় তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে জানান।

সভাপতির সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কিভাবে সমিতির জরুরি সভার আহ্বান করা হয়, এমন প্রশ্নের জবাবে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ বলেন, শিক্ষকদের অনুরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতিতে আমাদের একটা জরুরি মিটিং না দিলে মুশকিল ছিল। কারণ নানা জন নানাভাবে বিষয়গুলোকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছে। তাই মিটিংয়ের সময় নির্ধারণ করে উনাকে (সভাপতি) বিষয়টি জানাই। কিন্তু তিনি একটি পারিবারিক কাজে আটকা থাকায় মিটিংয়ে থাকতে পারছেন না বলে জানান। তবে তিনি আমাকে কিছু গাইডলাইনও দিয়েছিলেন।

এদিকে সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক গণমাধ্যমে কোন ধরনের বিবৃতি পাঠালে তা সভাপতিকে পড়ে শোনানোর কথা থাকলেও তা করা হয়নি বলে দাবি করেছেন সভাপতি এ এস এম মাকসুদ কামাল। তবে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ওনাকে পড়ে শোনানো হয়নি ঠিক। কিন্তু বিবৃতিতে এমন ব্যতিক্রম কিছু নেই।

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস মাকসুদ কামাল জাগো নিউজকে বলেন, সমিতির বিবৃতি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানাননি, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধির অংশগ্রহণ নিশ্চিতের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। এর দ্রুত ও শান্তিপূর্ণ সমাধান সকলের জন্যই মঙ্গলজনক।

এমএইচ/ওআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।