শাবি উপাচার্যকে উকিল নোটিশ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়াকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খাদিজা আক্তার। বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ফজলুর রহমানের পক্ষে গতকাল রোববার তিনি এ উকিল নোটিশ পাঠান।
নোটিশটি ওইদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছায় বলে রেজিস্ট্রার দফতরের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
নোটিশে তিন দিনের মধ্যে তার দাবির সমাধান করতে আহ্বান করা হয়েছে। অন্যথায় তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নোটিশটি উপাচার্যের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেনকেও পাঠানো হয়েছে।
উকিল নোটিশ মতে, ফজলুর রহমান জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ এর ৪র্থ গ্রেডে বেতনভুক্ত একজন কর্মকর্তা। তার গ্রেডের শেষ অবস্থানে পৌঁছার এক বছর পর বেতন স্কেলের নিয়ম অনুসারে টাইম স্কেলের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু সকল ধরনের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা পূরণ করা সত্ত্বেও তাকে টাইম স্কেল দেয়া হয়নি।
জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তারা নিজ বেতন স্কেলের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছার এক বছর পর তার চাকরির সন্তোষজনক রেকর্ডের ভিত্তিতে এবং এ সংক্রান্ত প্রচলিত শর্তাদি পূরণ সাপেক্ষ তার পদের বেতন স্কেলের পরবর্তী উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল) হিসেবে পাবেন। তবে পদোন্নতি ব্যতিত একই পদে সমগ্র চাকরি জীবনে তার একটির অধিক উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল) পাবেন না এবং এইরূপ উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল) জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ এ ৪র্থ স্কেলের ঊর্ধ্বের কোনো কর্মকর্তা পাবেন না।
জানা গেছে, ফজলুর রহমান ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি তার বেতন স্কেলের শেষ অবস্থায় পৌঁছান। এর এক বছর পর ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি নিয়ম অনুসারে উচ্চতর পরবর্তী স্কেল টাইম স্কেল হিসেবে পাওয়ার আবেদন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত অডিট শাখাও তার প্রাপ্যতার বিষয়ে মত দেন। কিন্তু গত বছরের ৩১ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১৯৫ তম সভায় আবেদনটি বাতিল করে দেয়া হয়।
ফজলুর রহমান বলেন, গেজেট অনুসারে আমি টাইম স্কেল প্রাপ্য হই, আমি মনে করি আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই আইনের সরণাপন্ন হয়েছি।
যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বলেন, আমরা নোটিশ পেয়েছি। মামলা হলে কনটেস্ট করব।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়াকে ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন কেটে দেন।
আব্দুল্লাহ/আরএআর/এমএস