জবির নিখোঁজ ছাত্রের সন্ধানে ডিএমপি কমিশনারে তাগিদ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৮:৪২ পিএম, ১৮ জুলাই ২০১৭

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাদেকুল ইসলাম মিলনের সন্ধানে ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তার সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। নিখোঁজ মিলনের সন্ধানে ডিএমপি কমিশনারকে আন্তরিকতার সঙ্গে তাগিদ দিয়েছেন বলেন জানিয়েছেন আলোচনায় উপস্থিত সবাই।

আলোচনায় মিলনের সহপাঠী সুলাইমান, সাদমান হাবীব শুভ, রাশেদুল ইসলাম, রায়হান কবীর ও জবি প্রশাসনের পক্ষে জবি প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মদ, জবি পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. পরিমল বালা ও সহকারী প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. নুর মেসাহাম্মদ জাগো নিউজকে বলেন, আমরা তাকে (ডিএমপি কমিশনার) এই বিষয়টি অবহিত করার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি আর একজন অফিসার খুব সম্ভবত অ্যাডিশনাল ডিআইজি কৃষ্ণপদকে ডেকে নেন এবং তাকে দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বলেন। আমাদের সামনেই তিনি তাকে কয়েকটি কাজ করার নির্দেশ দেন।

ঠিক কতদিনের মধ্যে এ পদক্ষেপ নেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কোনো সময় তিনি দেননি। তিনি বলেছেন- যত দূত সম্ভব তার সন্ধান বের করতে হবে।

সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ডিএমপি কমিশনার আমাদের সামনে মামলাটিকে আদাবর থানা থেকে ডিবিতে নিয়ে আসার নির্দেশনা দেন। তাছাড়া তিনি আমাদের জানিয়েছেন, গতকাল রাতে এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে তার। তারা এ ব্যাপারে সব জায়গায় আরও ভালোভাবে খোঁজ-খবর নেবেন।

জবি পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান পরিমল বালা বলেন, আমাদের ছাত্র মিলনের নিখোঁজের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিকাতা দেখিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেছেন- যত দ্রুত সম্ভব এ ছাত্রের সন্ধান বের করতে হবে।

মিলনের সহপাঠী সাদমান হাবীব শুভ জানান, ডিএমপি কমিশনার আমাদের জানান- তিনিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে অবহিত আছেন এবং গতকাল রাতে জরুরি সভার মাধ্যমে মিলনের ব্যাপারে আদাবর থানায় মামলা নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে (মঙ্গলবার) সকালে মিলনের বাবা-মা আদাবর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ডিএমপি কমিশনার অনেক অান্তরিক এবং আগ্রহের সঙ্গে মিলনের বিষয়ে তথ্যগুলো শোনেন এবং নোট করেন।

জানা যায়, দীর্ঘ এক ঘণ্টার বৈঠক শেষ করে ডিএমপি কমিশনার আসদুজ্জামান মিয়া সম্মেলন কক্ষে ত্যাগ করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন লালবাগ ডিভিশনের ডিসি ইব্রহীম খাঁন।

এসএম/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।