জবিতে টেন্ডার নিয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ : অাহত ১০
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) টেন্ডার জমা দেয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে দুই দফা হামলায় অন্তত ১০ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের সামনে দু’দফায় এ ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের ডায়েরি, ক্যালেন্ডার তৈরির জন্য টেন্ডার আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিপক্ষের প্রতিরোধের মুখে টেন্ডার জমা দিতে ব্যর্থ হয় সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে দুপুর ২টার দিকে বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায় তারা।
সূত্র আরও জানায়, সকাল ১০টার সময়ে ক্যাম্পাসের প্রতিপক্ষ বরিশাল, ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জ গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা শরিফ-সিরাজকে টেন্ডার জমা দিতে বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে সিরাজের কর্মী শফিকুল গনি সম্রাট, জুয়েলসহ চারজন আহত হয়।
এ সময় জবি প্রক্টর নূর মোহাম্মদ, সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামাল ও কোতোয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) মওদুদ এর হস্তক্ষেপে দুইপক্ষকে সরিয়ে দেন। পরে দুপুর ২টার দিকে শরিফ-সিরাজ এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর যত্রতত্র হামলা শুরু করে। এতে গ্রুপের ময়মনসিংহ গ্রুপের কর্মী শরীফুল ইসলাম শান্ত চাপাতির আঘাতে মারাত্বক জখম হয়। এছাড়া পিয়াস, রাশেদসহ আরও তিন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়। হামলায় জবি ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপিত শরিফের আপন ছোটভাই বহিরাগত দিদার, ওয়ারী এলাকার বখাটে নুহাস সহ ২০ থেকে ২৫ জন বহিরাতগত অংশ নেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আজ ক্যাম্পাসে যাইনি এবং আমার পক্ষ থেকে কোনো টেন্ডার জমা দেয়নি।’ অভিযোগ অস্বীকার করে জবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদেক সিরাজুল ইসলাম ও একই কথা বলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জবি প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি সকালের ঘটনায় উপস্থিত ছিলাম। এটি তেমন বড় কোনো ঘটনা ছিল না। তবে ২টার সময় যে ঘটনা ঘটেছে তা ক্যাম্পাসের বাইরে ঘটেছে এ বিষয়ে আমি তেমন কিছু জানি না।’
এসএম/এসএইচএস/আরআইপি