বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিকুলামে সময়োপযোগী পরিবর্তন আনতে হবে


প্রকাশিত: ১২:০৭ পিএম, ০৪ জুলাই ২০১৭

রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ বলেছেন, উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আধুনিক ও সর্বশেষ উদ্ভাবিত প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে জ্ঞান বিস্তারে উদ্যোগী হতে হবে। বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে কারিকুলামেও সময়োপযোগী পরিবর্তন আনতে হবে।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক ইউকিয়া আমানো। উক্ত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাকে ডক্টর অব লজ ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ইউকিয়া আমানো ‘শান্তি ও উন্নয়নে পারমাণবিক শক্তি’শীর্ষক বক্তব্য দেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করে তোলা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল দায়িত্ব হলেও সৃজনশীলতা ও স্বাধীন চিন্তার কেন্দ্রস্থল হিসেবেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসারের ফলে জ্ঞানের পরিধি বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার এ মাত্রাকে আরও বেগবান করেছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং তা যুগের চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে আবর্তিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠ হিসেবে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। আমি আশা করি, আমাদের উদ্ভাবন ও প্রয়োগিক জ্ঞান শুধু জাতীয় সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে না, বরং তা বিশ্বের মানবকল্যাণে অবদান রাখবে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এনামুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমাদ। এছাড়াও উপ-উপচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. আখরুজ্জামানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও ফ্যাকাল্টি মেম্বাররা এ বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচ/এমআরএম/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।