ঢাবি শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে


প্রকাশিত: ০২:৫০ এএম, ০২ জুন ২০১৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর নাম ইসমাঈল আহমেদ মুবিন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র। বৃহস্পতিবার রাতে হলের ক্যান্টিনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ডাক্তার বলছেন, রোগীর অবস্থা আশংকাজনক। বেশ কয়েকবার বমিও করেছেন আহত শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হলের দোকানে গায়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগা নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর উপর চড়াও হন আরিফুল ইসলাম। এক পর্যায়ে আরিফ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে হল ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির রাসেল আহমেদের অনুসারী ২০-৩০ জন কর্মীসহ মারধর করেন। এতে ভুক্তভোগীর মাথা ফেটে যায়। পরবর্তীতে আহত শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হলে নিয়ে আসে তার অনুসারীরা। এরপর আহত শিক্ষার্থী ৭-৮ বার বমি করলে বন্ধুরা তাকে পুনরায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীর সিটি স্ক্যান করেন। এরপর রোগীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে মেডিকেলের ওটিতে স্থানান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম বলেন, আসলে তাকে কেউ মারেনি। আমার সঙ্গে ধাক্কা লাগায় তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরবর্তীতে মিউচ্যুয়াল হয়ে গেছে। যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে আমি তাকে হাসপাতালে দেখতে যাবো।

অন্যদিকে হল ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির রাসেল তার কর্মীদের সেখানে উপস্থিতি দলীয় নয় ব্যক্তিগত উপস্থিতি বলে দাবি করেন। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, তারা সেখানে গেছে। মারামারি হয়নি। পরে আমরা জানতে পেরে সেখানে গেলে হল প্রশাসনের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হয়ে যায়। তবে তিনি আহত শিক্ষার্থীকে নিজে এবং হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নয়ন হাওলাদরসহ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এমএইচ/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।