দেড় লাখ টাকা জোগাড় হয়েছে তিথির জন্য
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষে শিক্ষার্থী শিরিন আক্তারের শরীরে বাসা বেঁধেছে জটিল ও বিরলতম এক রোগ। হেমোফেগোসাইটিক লিম্ফো হিস্টোসাইটোসিস (এইচএলএইচ) নামে পরিচিত এই রোগ বিশ্বের অন্যতম বিরল রোগগুলোর একটি। বিশ্বে প্রতি ১০ লাখে মাত্র একজন এ রোগে আক্রান্ত হয়।
এখন পর্যন্ত বিরলতম এই রোগে শনাক্ত হওয়া বাংলাদেশের একমাত্র রোগী তিথি। বর্তমানে কলকাতার টাটা মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন তিনি।
তবে তাকে এ রোগ থেকে সুস্থ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন ৭৫ লাখ টাকা। কিন্তু তিথির বাবার পক্ষে এ বিপুল অর্থের জোগান দেয়া সম্ভব নয়। এজন্য সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করেছেন তিথির পরিবার ও বন্ধুরা। ইতোমধ্যে তার জন্য এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার মতো জোগাড় করেছেন তার বন্ধুরা।
এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম দুই লাখ টাকা দেয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এছাড়া উপাচার্য নিজে প্রধানমন্ত্রী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গায় তিথির জন্য সাহায্যের জন্য আবেদন করবেন বলে তিথির সহপাঠীদের জানিয়েছেন।
প্রতি সপ্তাহের শুক্র ও সোমবার তিথিকে কেমো দেয়া হচ্ছে। চার মাস তার কেমো দেয়া হবে সহপাঠীদের জানিয়েছেন তিথি।
তিথির সহপাঠী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জামিনুর রহমান, সমাজের সর্বস্তরের লোকজনকে তিথির সহায়তার জন্য এগিয়ে আসতে বলেছেন।
তিথিকে আর্থিক সহায়তা পাঠানো যাবে নিম্নের মোবাইল অ্যাকাউন্ট বা ব্যাংক হিসাবে-
বিকাশ নম্বর- ০১৭৪৯২৭৭৫০১, ০১৯৮৪৭৪০৮৮৫, ০১৭৭২৪৭৮১৮৫, ০১৭৬৬৯৪৩৯৫২, ০১৭৪০৯৩৮৭৭১, ০১৯৬৫৩০৫৮৩৩, ০১৬৮৮১৫৮৬৬৬; রকেট নম্বর- ০১৭৪৯২৭৭৫০১৭।
এছাড়াও সাহায্য পাঠানো যাবে, হিসাব নম্বর-১২৭১০১০০৭০৩৭০ (সৈয়দ মোহাম্মদ জোবায়ের), ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, হিসাব নম্বর- ০২০০০০৯৬২১১১৮ (ইসমত জাহান চন্দ্রা), অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
এছাড়া সহায়তাসহ যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ- ০১৮৪৫৯২৩৮০২ (রাব্বি), ০১৯১১২৩৪১৮২ (অনিন্দ্য), ০১৭৩৭৫৭৬৬২৪ (জামি), ০১৬৮০২৪৭৪২৯ (মাসুফ) ও ০১৯১৭০৭৮৬৪৮ (ইথার)।
হাফিজুর রহমান/এমএএস/এমএস