ঢাবি সিনেট নির্বাচন : ২ প্যানেলে লড়বে নীল দল


প্রকাশিত: ০৮:০৬ এএম, ১৪ মে ২০১৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিনেটের আসন্ন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বাম সমর্থিত শিক্ষকদের মধ্যে শেষ সময়েও সমঝোতা হয়নি।

ফলে নির্বাচনে দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে লড়ছে আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।

রোববার দুপুর ১টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় থাকলেও কোনো পক্ষই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেনি। ফলে পৃথক প্যানেলে নির্বাচনের মাঠে থাকবে নীল দল। তবে নীল দলের দুই পক্ষ থেকে একজন করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন বলে নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে, নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকরা। ঐক্যবন্ধ প্যানেল করে ভোট পেতে সাধারণ শিক্ষকদের কাছে যাচ্ছেন তারা। একটি মাত্র প্যানেল থাকায় নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আসবে বলে আশাবাদী তারা।

নীল দলের দুটি পক্ষের একটি হচ্ছে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকপন্থী, অন্যটি হচ্ছে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালপন্থী।

মাকসুদ কামালপন্থী নীল দলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ  সামাদ (কবি সামাদ) ও অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে তাদের প্যানেলের কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি বলে নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে উপাচার্যপন্থী শিক্ষক বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ ও শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, যারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করছে তাদের সঙ্গে কেন আমরা সমঝোতায় যাব। তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে নির্বাচন করবে। আমরা নীল দল আমাদের নির্বাচন করবো।

নীল দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, গত শুক্রবার উভয় গ্রুপের সঙ্গেই আওয়ামী লীগের হাইকমাণ্ড কথা বলে। তবে রোববার পর্যন্ত কোনো সমঝোতায় আসতে পারেননি তারা। ফলে নির্বাচনী মাঠে উভয় পক্ষকেই দেখা যাচ্ছে।

অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন (মাকসুদ কামালপন্থী) জাগো নিউজকে বলেন, আমরা নীল দল নির্বাচন করছি। আমাদের কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি। তবে বিরোধী পক্ষের সঙ্গে কোনো ধরনের সমঝোতা হয়নি।

একই পক্ষের আরেক শিক্ষক নীল দলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামাদ বলেন, নীল দলের ইতিহাসে এমন অন্যায় বিরল। আমরা নির্বাচনী মাঠে থাকছি। কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি। কোনো ধরনের  সমঝোতাও হয়নি। তবে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। আমরা চাই নীল দলে ঐক্যবদ্ধ প্যানেল। যদিও মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে না, তবুও কোনো প্রার্থী নিজেকে ভোট না দেয়ার অনুরোধ করে নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারেন। সে পথ বন্ধ হয়ে যায়নি।

বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ (উপাচার্যপন্থী) অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া বলেন, তারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন, তাই তাদের সঙ্গে সমঝোতা হবে কেন। তারা নির্বাচন করলে করুক। তবে তারা আমাদের নীল দলের প্যাড ব্যবহার করতে পারবেন না। আমরা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে বলেছি। কারণ আমরাই প্রকৃত নীল দল।

আগামী ২২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন। ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। যারা আগামী আগস্টে উপাচার্য প্যানেল তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।

এমএইচ/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।