মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে ঢাবি নীল দল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল পরিচালনার জন্য প্রতি বছরই নতুন কমিটি গঠনের রীতি রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ দিনের এ ঐতিহ্য এখন আর নেই। চলতি কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে এক বছর আগে। অথচ এখনো গঠন করা হয়নি নতুন কমিটি।
এছাড়া অতিরিক্ত মেয়াদে থাকার জন্য অনুমোদন নেয়া হয়নি সাধারণ সভা থেকেও। সবমিলিয়ে সরকার সমর্থিত প্রভাবশালী এই সংগঠনটি বর্তমানে ‘অবৈধ’ ভাবে কার্যক্রম চলাচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষকদের।
জানা যায়, নীল দলের সর্বশেষ কমিটি গঠিত হয় ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল। রীতি অনুযায়ী ২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। যদিও মেয়াদোত্তীর্ণের এক বছর পার হলেও এখনো নতুন কমিটি গঠনের তৎপরতা নেই।
এদিকে চলতি মাসেই সিনেট নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সিনেট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নীল দলের কমিটির বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির বিষয়ে নীল দলের শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে নীল দলের একাধিক জ্যেষ্ঠ শিক্ষক জানান, সংগঠনের সর্বস্তরে গণতন্ত্র চর্চা করতে হবে বলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে। অথচ গণতন্ত্রের সূতিকাগার খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলেই মানা হচ্ছে না গণতন্ত্র। নির্দিষ্ট মেয়াদ পূর্ণ হয়ে অতিরিক্ত মেয়াদে অনেকটা অবৈধ কমিটি দিয়ে চলছে সংগঠনটির কার্যক্রম।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের এক জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক নাম প্রকাশ না করা শর্তে জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিটি সংগঠনই নিয়ম-রীতি অনুযায়ী পরিচালিত হয়। সংগঠনের গতিশীলতার জন্যই নির্দিষ্ট সময়ে নতুন নেতৃত্ব গঠন করতে হয়। কিন্তু নীলদলের মতো ঐতিহ্যবাহী সংগঠন মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে, এটি খুবই দুঃখজনক।
এ বিষয়ে নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক নাজমা শাহীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এটাতো অভ্যন্তরীণ বিষয়। আপনাদের বলব কেন?’ এ বলে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন।
অন্যদিকে কমিটির বৈধতা সম্পর্কে জানতে চাইলে নীল দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক আলী আক্কাস জাগো নিউজকে বলেন, কমিটি অবৈধ কি না সেটা বলব না, তবে শিগগিরই কমিটি গঠন করা হবে। আর কমিটির মেয়াদ সাধারণ সভার মাধ্যমে বাড়ানো হয়েছে কি না- সেটি আহ্বায়ক বলতে পারবেন।
এমএইচ/জেডএ/এএইচ/এমএস