বেরোবিতে নববর্ষ উদযাপন
‘হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজন আর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বেগম বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) পয়লা বৈশাখ উৎসব উদযাপন করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয় এই মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি লালবাগ মোড় ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে এসে শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় শিক্ষার্থীদের তৈরি বিশাল ময়ূর পাখি, কুমির, নানা ধরনের ভাস্কর্য, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড বহন করে শিক্ষার্থীরা বিচিত্র সাজে সুসজ্জিত হয়ে অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ মুখে রঙ মেখে আবার কেউ কেউ নানা রঙের পোশাক পড়ে বাঙালি সংস্কৃতি তুলে ধরার চেষ্টা করেন।
পরে সকাল ১০টায় নববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নাজমুল হকের সভাপতিত্বে বৈশাখী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী।
এ সময় উপাচার্য বলেন, বাঙালি ঐতিহ্য ধারণ করে নতুন সম্ভাবনা ও নতুন প্রত্যাশা জাগিয়ে তুলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। পহেলা বৈশাখই হচ্ছে বাঙালির জীবনের সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব। এই উৎসবের মধ্য দিয়েই প্রকাশ পায় বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও গৌরব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের শিক্ষক উমর ফারুকের সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম, বাণিজ্য অনুষদের ডিন ফেরদৌস রহমান,শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. তুহিন ওয়াদুদ, সমাজকর্মী গুলনাহার নবী এবং নববর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে আয়োজন করা হয় দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা। মেলায় স্টলগুলোতে গ্রামের ঐতিহ্যবাহী নানা রকমের পিঠা, মন্ডা-মিঠাই, পান্তা, মুড়ি-মুড়কি, বাতাসাসহ হরেক রকম পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মেলায় বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
নয়ন/এএম/পিআর