গেস্টরুম, টিভি রুমও গণরুম : শিক্ষার্থীরা পড়েন ক্যান্টিনে
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মোট পাঁচটি আবাসিক হল রয়েছে। যার তিনটি ছেলেদের ও দুইটি মেয়েদের। বর্তমানে এই হলগুলোর গেস্টরুম এবং টিভি রুমও গণরুমের মতো ব্যবহৃত হচ্ছে। গণরুমে যেভাবে শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে থাকেন, গেস্টরুম এবং টিভি রুমেও তারা সেভাবে থাকছেন। সেইসঙ্গে কোনো হলেই নেই রিডিংরুম। তাই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনকে রিডিং রুম হিসেবে ব্যবহার করছেন।
ফলে আবাসিক সংকটের সঙ্গে যোগ হয়েছে পড়ালেখার সুন্দর পরিবেশ না থাকা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এসব সংকট সমাধানে উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না হল প্রশাসন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ছাত্রদের তিনটি আবাসিক হলের গণরুমে থাকা প্রথম বর্ষের ছাত্ররা ক্যান্টিনে রাতের খাবার শেষ হলে রাত ১১টা থেকে গভীর রাত অবধি পড়াশোনা করেন।
আবাসন সংকট থাকায় নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হলের গণরুমে বেশকিছু শিক্ষার্থী ফ্লোরে থাকেন। এ হলের টিভিরুম, গেস্টরুমকেও বানানো হয়েছে গণরুম।
গণরুমে ফ্লোরে থাকা এসব শিক্ষার্থী জানান, তাদের ফ্লোরে ঘুমাতে হয়। এমনকি পড়ার কোনো চেয়ার-টেবিলও নেই। তাই ক্যান্টিন বা ডাইনিংয়ে পড়তে হচ্ছে। সমস্যা হলেও কাউকে বলতে পারছেন না কিছু। প্রশাসনও এর সমাধানে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। তাছাড়া হলটিতে কোনো বারান্দা না থাকায় তারা আরও সমস্যায় পড়েছেন।
নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. ইছাক বলেন, হল ভবনের সংস্কার কাজ চলছে। কাজ সম্পন্ন হলে শিক্ষার্থীদের জন্য রিডিং রুম, টিভি রুম ও গেস্টরুম করা হবে।
এদিকে, ছাত্রী হল দুটোর গণরুমের অবস্থাও করুণ। সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় তারা ভালোমতো পড়াশোনা করতে পারছেন না।
কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হলের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী জানান, তৃতীয় বর্ষে উঠেও সিঙ্গেল সিট পাইনি। এখনও ডাবলিং করতে হচ্ছে। ছাত্র হলগুলোতেও অনেকেই এমন অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ জাগো নিউজকে বলেন, আরও দুটি ১০তলা ভবনের হল নির্মাণ করা হবে। যার একটি ছেলেদের ও অপরটি মেয়েদের জন্য। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত শিক্ষার্থীদের নতুন হলে আনা হবে। তখন প্রত্যেক হলেই রিডিং রুম, টিভি রুম, গেস্ট রুম তৈরিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেডএ/এসআর/এমএস