সমাবর্তনে প্রাণের উচ্ছ্বাস, বড় দায়িত্বের স্বপ্ন
পঞ্চম শ্রেণি, অষ্টম শ্রেণি, এসএসসি, এইচএসসি। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলো শেষ করার পর এবার গ্র্যাজুয়েট হলেন। সকাল সকাল গ্র্যাজুয়েটের বেশে দোয়েল চত্বরে চলে এসেছেন তারা। মুখে গর্বের হাসি আর উল্লাস ছিল। কারো কারো মধ্যে বন্ধুদের হারানোর বেদনাও ছিল। এখন আগের মতো মন দিয়ে পড়াশোনার সময় পাবেন না তারা। এবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পালা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের খেলার মাঠে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান শেষে মোট ১৭ হাজার ৮৭৫ জন গ্র্যাজুয়েটের স্বীকৃতি পাবেন। এরপরই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব বর্তাবে তাদের ওপর।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর আগে অবশ্য বাবা-মা ও বন্ধুদের সঙ্গে গাউন পরে ছবি তুলছিলেন হবু গ্র্যাজুয়েটরা। একে অপরকে বলছিলেন ভবিষ্যতে পরিকল্পনার কথা।
আবু সালেহ নাঈম নামে এক গ্র্যাজুয়েট জাগো নিউজকে বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির জন্য দেড় বছর অপেক্ষায় ছিলাম। সাড়ে ৪ বছর পড়াশোনা করেছি। আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেতে আরো ১ বছর লাগলো। এবার অপেক্ষার পালা শেষ। সরকারি চাকরিতে আবেদন করবো। জনগণের সেবক হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চাই। ভালো সেবক হতে পারলেই কেবল এই গ্রাজুয়েশনের মর্যাদা থাকবে।
শান্তা ইসলাম মনি নামের এক শিক্ষার্থী জানান, ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে একটা প্রাইভেট ব্যাংকে কাজ করছি। তবে লক্ষ্যটা একটু বড়। বিসিএস দিয়ে পুলিশে যেতে চাই। জনগণের কাছে থেকে জনগণের সেবা করতে চাই।
ঢাবির এবারের সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের সুপারিশে ৬১ জনকে পিএইচডি, ৪৩ জনকে এম.ফিল. এবং ১৭ হাজার ৮৭৫ জনকে গ্র্যাজুয়েট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে। দেয়া হবে ৯৪টি স্বর্ণপদক।
গাউন পরে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগে বন্ধুদের নিয়ে দোয়েল চত্বরে আড্ডা দিচ্ছিলেন মাসুদ আহমেদ। জীবনে এ পর্যন্ত কী করেছেন এবং কী করবেন এই হিসেব-নিকেশ কষছিলেন।
জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বললেন, স্বপ্ন অনেক। আগে স্বপ্ন দেখতাম সরকারি চাকরি করে আয় করার। এখন নিজেই কিছু করার স্বপ্ন দেখছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি, বন্ধুরাও শিখিয়েছেন। এখন সেগুলো জীবনে প্রয়োগ করে এগিয়ে যাওয়ার পালা।
এআর/এনএফ/এমএস