রাবিতে শিক্ষার্থীকে মারধর
ইউটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে বেধড়কভাবে মারধর করা হয়েছে। রোববার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার রনি হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মারধরকারী শিক্ষার্থীরা হলেন, রাহাত-মিরাজসহ কয়েকজন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক নবীনবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে মিলনায়তনের ভিতরে রনির বান্ধীকে রাহাতসহ কয়েকজন বিরক্ত করে। এসময় রনি তাদেরকে বাধা দেন। এরপর অনুষ্ঠান শেষে ২টার দিকে মেয়েটি মিলনায়তন থেকে বের হলে রাহাত-মিরাজসহ বেশ কয়েকজন মিলে রনিকে বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মারধরের শিকার রনি হাসান জানান, রাহাতসহ কয়েক মিলনায়তনে অনুষ্ঠান চলাকালে আমার এক বান্ধবীকে ইভটিজিং করলে তাদেরকে আমি বাধা দেই। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এসে তাদেরকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। এরপর অনুষ্ঠান শেষে মিলনায়তন থেকে বের হওয়ার পর তারা কয়েকজন মিলে আমাকে মারধর করে।
মারধরের ঘটনা স্বীকার করে রাহাত বলেন, রনি নামের ওই ছেলেটি স্থানীয় বলে জুনিয়র হওয়ার পরেও সে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। ওই মেয়েটির সঙ্গে কথা বলার সময় সে আমাকে ধাক্কা দিলে আমার বন্ধু মিরাজ শুধু রনিকে একটা চড় মেরেছে। তবে ইভটিজিংয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মারধরের খবর শুনে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে প্রাথমিক চিকৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মারধরের শিকার শিক্ষার্থী অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
রাশেদ রিন্টু/ এমএএস/জেআইএম