প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের খুলনা ক্যাম্পাসে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ


প্রকাশিত: ১১:৫৫ এএম, ০৪ এপ্রিল ২০১৫

নিজস্ব ক্যাম্পাস না থাকাসহ নানা জটিলতায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের খুলনা শাখা ক্যাম্পাসগুলো গুটিয়ে নেয়া হচ্ছে। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই খুলনাতে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এ কারণে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সর্বশেষ গত ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলা-মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা, সমস্যার ধরণসহ ওই সব প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করে। জনস্বার্থে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করে ইউজিসি’র বিজ্ঞপ্তিতে এসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সঠিক তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের প্রতি পরামর্শ দেয়। আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে ক্যাম্পাস পরিচালনা করা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।

সূত্রটি জানায় নগরীর শিববাড়ি মোড়ের নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, কেডিএ এভিনিউ এলাকার দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি, বয়রার সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি, রয়্যাল মোড়ের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ও আমেরিকান বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি চালু ছিল। কিন্তু, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে খুলনার সকল প্রাইভেট ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ (স্থগিত) করা হয়েছে।

এছাড়া নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ খুলনা ক্যাম্পাসে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের অন্তরায় হয়েছে। অন্য ক্যাম্পাসগুলো আগে থেকেই স্তমিত হয়েছিল। খুলনার এসব শাখা ক্যাম্পাসে প্রতি বছরই দেড় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা অর্জনের লক্ষে ভর্তির সুযোগ ছিল।

সূত্রগুলো আরও জানায়, মালিকানা দ্বন্দ্ব থেকে শুরু করে নামমাত্র শিক্ষাদান, কোচিং স্টাইলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা, ভাড়া করা শিক্ষক দিয়ে ক্যাম্পাস পরিচালনা, সনদ বিক্রি, ক্যাম্পাস ও শাখা বিক্রি, আউটার ক্যাম্পাস পরিচালনা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব শাখা ক্যাম্পাসগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংকুলান না হওয়ায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইচ্ছামত টিউশন ফি নির্ধারণ করা হয়। তাছাড়া অধিকাংশেরই নেই গবেষণার সুযোগসহ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ।

এ ক্ষেত্রে শিক্ষার গুণগতমান যাচাই করে দ্রুত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রেটিং করা এবং সে অনুযায়ী টিউশন ফি নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।

নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপ-পরিচালক প্রফেসর শেখ মাহবুবুর রহমান বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করা হচ্ছে।

প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ জাফর ইমাম বলেন, উচ্চশিক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে ইউজিসি’র শর্ত পূরণ করতে হবে এটাই বিধান। খুলনাতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন রয়েছে। তাই যারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চান তাদের উচিত, ব্যবসায়িক মনোভাব পরিহার করে সেবার উদ্দেশ্য পোষণ করা।

এমএএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।