তিন পৃষ্ঠার চিরকুট লিখে ইবি ছাত্রের আত্মহত্যা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান অসুস্থতার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর পূর্বে তিন পৃষ্ঠার চিরকুটে লিখে গেছেন তার মৃত্যুর কারণ।
সোমবার বিকেল ৪টার দিকে কুষ্টিয়ার কাস্টমস মোড়ের রোকেয়া ভিলা নামের একটি মেস থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে কুষ্টিয়া সদর থানা পুলিশ। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা যায়, রোকেয়া ভিলায় অবস্থানরত কয়েকজন শিক্ষার্থী বিকেল ৪টার দিকে তার রুমে গিয়ে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানালে প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান কুষ্টিয়া সদর থানা পুলিশের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
মরদেহের সাথে তার রুম থেকে একটি তিন পৃষ্ঠার চিরকুটও উদ্ধার করে পুলিশ। আতিকের লিখে যাওয়া চিরকুটের শিরোনাম ছিল ‘শেষ কথা’।
সেখানে তিনি লিখেছেন, দীর্ঘদিন থেকে আমার পেটে ব্যথা। আমি কোথাও একটু শান্তি পাই না। এই ব্যথা আমার কাছে দিন দিন অসহ্য হয়ে গিয়েছিল। পরিবারের বোঝা হয়ে থাকতে চাই না আমি। তাই বেছে নিয়েছি আত্মহত্যার পথ।
তিনি মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন চিরকুটের শুরুতে। তিনি লিখেছেন, আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। আদর্শ ম্যাজিস্ট্রেট হতে চেয়েছিলাম। সে সমর্থও আমার ছিল কিন্তু অসুস্থতা আমাকে সে স্বপ্ন পূরণ করতে দিলো না।
তিনি প্রশ্ন রেখে গেছেন, আমার পরিবারকে নিঃস্ব করে যদি আমাকে বোঝা হয়ে থাকতে হয়, তাহলে আমি যে কষ্ট করে এত দূর পর্যন্ত আসলাম তার সফলতা কোথায়?
আতিকুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারি থানায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, বিষয়টি আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানালে তাৎক্ষণিক কুষ্টিয়া পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সোহাগ/এমএএস/জেআইএম