টমাটিলোর গবেষণায় শেকৃবির সাফল্য
ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও ডায়রিয়া প্রতিরোধী ‘টমাটিলো’ নামক বিদেশি সবজির সফল অভিযোজন সম্পন্ন করেছ শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাহিদ জেবার নেতৃত্বে গবেষক দল এ সাফল্য অর্জন করেন।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে টমাটিলো নিয়ে গবেষণা শুরু করা হয়। দেশীয় টমেটোর চেয়ে একমাস আগে এর ফুল আসে। কাজেই অল্প সময়ের মধ্যেই ফসল সংগ্রহ করা যাবে। উচ্চতর গবেষণা শেষে এটি কৃষকদের চাষের জন্য অবমুক্ত করা হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশের পরিবেশের সঙ্গে টমাটিলো বেশ ভালোই মানিয়ে গেছে। এটি দেশি টমেটোর সোলানেসি গোত্রের একটি সবজি এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম চযুংধষরং রীড়পধৎঢ়ধ (ফাইসালিস ইক্সকারপা)। টমেটোর স্বাদের সঙ্গে এর কিছুটা সাদৃশ্য রয়েছে।
টমাটিলো দেখতে কয়েক রকমের হয়ে থাকে যেমন- সবুজ, হলুদ ও বেগুনি। পাতা অনেকটা মরিচ গাছের পাতার মতো। বীজগুলো টমেটো বীজের চেয়ে ছোট এবং ফলের ভেতরটা মাংসল। এর ফলন হেক্টর প্রতি ৬০ থেকে ৭০ টন। জন্মস্থান মেক্সিকোতে এর ফলন হেক্টর প্রতি প্রায় ২৫ টন।
ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য এটি বেশ উপকারী সবজি। এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার পেকটিন, যা গ্লুকোজ শোষণ করে। এমনকি রক্তের নিম্ন কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায়। ফ্লাভিনয়েড থাকায় সবজিটি ফুসফুস ও মুখগহ্বরের ক্যান্সার প্রতিরোধেও বেশ সহায়ক। এছাড়া ডায়রিয়া প্রতিরোধেও ভূমিকা পালন করে।
আরএস/জেআইএম