বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ দেয়া হলো না দিয়াজের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী ছাত্র ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী। তিনি একই বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে বিবিএ ও এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। আজ মঙ্গলবার দিয়াজের বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদানের কথাও ছিল। কিন্তু তার আগেই চলে গেলেন মেধাবী এ ছাত্রনেতা।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ২নং গেট এলাকায় তার বাসায় গেলে দিয়াজের বড় বোন জোবাইদা সরোয়ার নিপার স্বামী সরওয়ার আলম জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।
দিয়াজের ভগ্নিপতি বলেন, দিয়াজ ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিল। এবার ৩৪তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় পাস করে সে। ছাত্র রাজনীতি করলেও সে নিজেকে সবসময় পড়াশোনার মধ্যে রাখতো বলেও জানান সরোয়ার আলম।
এদিকে, পেশায় আইনজীবী দিয়াজের বড় বোন নিপা জাগো নিউজকে বলেন, আমার ভাই মাধ্যমিকের পর নটরডেম কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়। কিন্তু মা তাকে ভর্তি হতে দেয়নি। প্রিয় সন্তান চোখের আড়াল হোক- সেটা তিনি চাননি। দিয়াজ একজন তুখোড় বিতার্কিক ছিল। কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় নানা বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে, যা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অব্যাহত ছিল।
দিয়াজের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, যে কক্ষে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায় সেখানে বিছানার পাশেই তার পড়ার টেবিল। সেখানে পরিপাটিভাবে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ের বই। যে বইয়ের পাতাগুলো আর উল্টিয়ে দেখবেন না অকালে চলে যাওয়া মেধাবী এ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা।
এর আগে সোমবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ময়নাতদন্ত শেষে সকাল ১০টায় দিয়াজের মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বাদ আসর জানাজা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
আরএআর/এনএইচ/পিআর