ক্যাম্পাসের উৎসব রূপ নিল শোকে : ক্ষুব্ধ দিয়াজের অনুসারীরা
১৯ নভেম্বর ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব। গৌরবের ৫০ বছর পূর্তিতে উৎসবে মেতে ছিল পুরো বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু আকস্মিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মৃত্যুর খবরে উৎসব থেকে শোকের ক্যাম্পাসে রূপ নিল চবি।
শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাগো নিউজকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুর খবর শোনার পর নেতাকর্মীরা তার বাসার সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। এমন মৃত্যুতে মুষড়ে পড়েছেন দীর্ঘদিন রাজনীতি করে আসা তার অনুসারীরা।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এই কর্মকর্তার সঙ্গে ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদোলা রেজা। এ সময় ক্ষোভে ফেটে পড়ে দিয়াজের অনুসারীরা। তারা নানা প্রতিবাদী স্লোগান দেয়। হত্যার বিচার দাবিতে কাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেয়ারও হুমকি দেয় তারা।
৫তলা ভবনের দ্বিতীয় তলাতে মা ও পরিবারের অন্য সদস্যসহ দীর্ঘদিন ভাড়া থাকতেন তিনি। যে কক্ষে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায় সেটি ভেতর থেকে তালাবদ্ধ থাকলেও বারান্দার দরজাটি খোলা ছিল।
এদিকে, কেন্দ্রীয় এই ছাত্রলীগ নেতার অনুসারীরা বলছেন, যে মানুষটি বিকেলে হাসি-খুশি ছিলেন তিনি কখনো আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীরা নির্বিঘ্নে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বারান্দা দিয়ে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা দিয়াজের অনুসারীদের।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাউকে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি।
আবদুল্লাহ রাকীব/এসঅাইএস