ঢাবি সিনেটে ৬৬৪ কোটি ১১ লাখ টাকার বাজেট পাস


প্রকাশিত: ১২:৪৭ পিএম, ২৩ জুন ২০১৬

২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য ৬৬৪ কোটি ১১ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিনেট। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিনেট অধিবেশনে এ বাজেট পাস হয়।

অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানসহ সিনেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া সিনেট অধিবেশনে ভিসির স্বাগত ভাষণের পর বাজেটের আকার তুলে ধরেন সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামাল উদ্দিন। পরে সিনেট সদস্যরা বাজেটের উপর আলোচনা করেন। মোট ৬টি খাতে এই বরাদ্দ ব্যয় হবে।

এবারের বাজেটে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাবদ মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৪৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৩৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কমর্চারীদের ভাতা বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৫৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা (২৩.২২%)।

আর পেনশন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ২২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। মোট বাজেট বরাদ্দের ৮২ দশমিক ৫৪ শতাংশই ব্যয় হবে এই দুই খাতে।

এছাড়া শিক্ষা সংক্রান্ত খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৬০ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা মোট বাজটের ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। অথচ চলতি শিক্ষাবর্ষে ৪২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৫৫ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, যা মোট বাজেটের ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এছাড়া বাকি চার খাতে অবশিষ্ট অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

স্বাগত ভাষণে ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তার বক্তব্যে তরুণ প্রজন্মকে কৃতী শিক্ষক, নিষ্ঠাবান বিজ্ঞানী, সফল ব্যবসায়ী, বিচক্ষণ ও বিশ্বমনষ্ক রাজনীতিবিদ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য সুশীল সমাজ, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় নিয়োজিত ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ,শিল্প-উদ্যোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

অধিবেশনে তিনি শিক্ষার বিষয়গত সম্প্রসারণ ও প্রায়োগিক ক্ষেত্র প্রসারিত করতে চলতি বছরে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। বিকেলে অধিবেশন শেষ হয়।

এমএইচ/এমএমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।