সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে জবি ছাত্রীকে মারধর-হুমকি

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ভুক্তভোগী ছাত্রী শান্তা আক্তার বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে ভুক্তভোগী বলেন, ‘চান বাদশা আমার পৈতৃক সম্পত্তি দখল করতে আমার পরিবারের সদস্যদের শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করে আসছিলেন। এর জের ধরে গত ২১ মার্চ তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে আমার বাবাকে গালাগাল ও মারপিট করেন। এ সময় আমি আমার বাবাকে বাঁচাতে গেলে চান বাদশা আমাকে চড় থাপ্পড় এবং কোমরে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়।’
অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘চান বাদশা আমাকে এলোপাথাড়ি কিলঘুষিসহ বাঁশ দিয়ে মারপিট করে। এতে আমি গুরুতর আহত হই। আমাদের বাঁচাতে আমার চাচা রমজান (৫০) এগিয়ে আসলে চান বাদশা সুযোগ পেলে আমাদের ক্ষতিসাধন করার হুমকি দেয়।’
ভুক্তভোগী ছাত্রী শান্তা আক্তার বলেন, ‘থানায় অভিযোগ করার পরও চান বাদশা আমাকে ও আমার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। রাতে আমাদের বসতবাড়িতে ঢিল ছুড়ে আমাদেরকে নানাভাবে বিরক্ত করছে। আমি ও আমার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে আছি।’
জানতে চাইলে অভিযুক্ত চান বাদশা বলেন, ‘আমি কাউকে মারধর করিনি। সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি কাউকে হুমকি-ধমকি দেইনি।’
সরেজমিনে পরিদর্শনের পর এলাকাবাসী চান বাদশার বিরুদ্ধে নানা অপরাধের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদক সেবন, নিজ স্ত্রী-বাচ্চাকে ঘর ছাড়া করা ও বৃদ্ধ মা-ভাইদের হাত তোলার অভিযোগ অন্যতম।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, ‘চান বাদশা একটু বেপরোয়া টাইপের মানুষ। তাকে নিয়ে মানুষের নানান অভিযোগ রয়েছে। আমরা বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ডাকলে সে সাড়া দেয়নি। কিন্তু নিয়মিতই নানা অপকর্মের অভিযোগ শুনছি।’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এমন একটা অভিযোগ পেয়েছি। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে শান্তা নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এমএইচ/