পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রংপুর অ্যালামনাইয়ের সংহতি

জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা সংরক্ষণ করার আদেশ দিয়ে সম্প্রতি মহামান্য আদালত কর্তৃক রায় ঘোষিত হয়েছে। এই রায়ে দেশের পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এর প্রতিবাদে এই কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নেমেছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।
চলমান এই আন্দোলনে রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিউটিউ অ্যালামনাই পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছে। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে সংগঠনের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌহিদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই রায় প্রকৌশল শিক্ষার মানোন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত করবে। আমরা মনে করি, প্রকৌশল শিক্ষাকে যথাযথভাবে এগিয়ে নিতে হলে স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ ব্যবস্থা বজায় রাখা জরুরি।
রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিউটিউ অ্যালামনাই শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সম্পূর্ণ সমর্থন জানায় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায়। এই রায় পুনর্বিবেচনা করে ন্যায়সংগত সমাধান নিশ্চিত করা হোক।’
শিক্ষার্থীদের মতে, এই পদোন্নতির রায় যদি কার্যকর করা হয় তবে যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগপ্রক্রিয়া বাঁধাগ্রস্ত হবে। তারা দাবি করছেন, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগ অবশ্যই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে হতে হবে। এতে করে প্রকৃত মেধাবীরা এ পদের জন্য বিবেচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন। ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিউটিউ অ্যালামনাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। সংগঠনটি সকল শিক্ষার্থী ও স্টেকহোল্ডারদের প্রতি শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ উপায়ে নিজেদের দাবি উপস্থাপন করার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে পাঠানো হয়েছে, যাতে বিষয়টি দ্রুত নীতিনির্ধারকদের নজরে আসে এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
এলআইএ/এমএস