উপাচার্যের কার্যালয়ে হামলাকারীদের বিচার চায় ছাত্রলীগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যে কার্যালয়ে হামলাকারীদের বিচার দাবি করেছে ছাত্রলীগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাংবাদিকদের কাছে এমন দাবি জানায় সংগঠনটির সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ। তিনি বলেন, যারা উপাচার্যের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে আমরা তাদের অবিলম্বে বহিষ্কার ও বিচার দাবি করছি।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে উপাচার্য নিজ কার্যালয়ের পিছনের গেইট দিয়ে চলে যেতে চাইলে তাকে অবরুদ্ধ করে আন্দোলনকারীরা। এ সময় উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে লাঞ্ছিত করে আন্দোলনকারীরা। এক পর্যায়ে বিকেল ৪টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আবিদ আল হাসান ঘটনাস্থলে এসে উপাচার্যকে উদ্ধার করে কার্যালয়ে পৌঁছে দেয় ছাত্রলীগ। এ ঘটনার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়।
অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা পিছনের গেইটে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে সোয়া ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের চারদিক দিয়ে আন্দোলনকারীদের ঘিরে রেখে ভিতরে ঠুকে এলোপাতাড়ি মারধর করে ছাত্রলীগ। এসময় উভয়পক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হয়। গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র মাসুদ আল মাহাদী, ছাত্র ফেডারেশনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের প্রগতি বর্মন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি মীর আরশাদুল হক।
ছাত্রলীগ নেতারা ভাঙচুর করেছে বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা ও বুম। একই ঘটনা ঘটায় বাম সংগঠনের নেতারাও। এসময় প্রায় ৮-১০ জন সাংবাদিক আহত ও লাঞ্ছিত হয়। বিকেল ৫টার দিকে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আসে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এমএম/এমএইচ/জেএইচ/আইআই