খালেদ খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
বিশিষ্ট মঞ্চ ও টিভি অভিনয়শিল্পী এবং নির্দেশক খালেদ খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গত বছরের এই দিনে ৫৫ বছর বয়সে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। খালেদ খান ১৯৫৮ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে ১৯৮১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিকম এবং ১৯৮৩ সালে ফিন্যান্স বিষয়ে এমকম সম্পন্ন করেন খালেদ খান।
দীর্ঘ ২৮ বছর নিয়মিত থিয়েটার ও টিভি নাটকে অভিনয় করে শক্তিমান এক অভিনেতায় পরিণত হয়েছিলেন তিনি। বিশেষ করে নব্বই দশকে একাধিক টিভি নাটকে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান। মঞ্চে তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’, অচলায়তন, নুরালদীনের সারা জীবন, ‘ঈর্ষা’, দর্পণ, গ্যালিলিও ও ‘রক্তকরবী’। নাটকে সফলভাবে পথচলার পর পরিচালনাও শুরু করেন খালেদ খান। তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের মুক্তধারা, পুতুল খেলা’, কালসন্ধ্যায়, মাস্টার বিল্ডার, ক্ষুদিত পাষাণ সহ বেশ কিছু। ১৯৮১ সাল থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে টিভি নাটকে অভিষেক হয় তার। তার অভিনীত প্রথম টিভি নাটক হলো ‘সিঁড়িঘর’। এরপর অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করে দর্শক হৃদয় জয় করেছেন। একাধিক নাটকে তার বেশ কিছু সংলাপও জনপ্রিয়তা পায়। বিশেষ করে নব্বই দশকের নাটক ‘রূপনগর’ এ তার ‘ছিঃ ছিঃ, তুমি এত খারাপ’ শীর্ষক সংলাপটি চলে আসে মানুষের মুখে মুখে। তার অভিনীত জনপ্রিয় নাটকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এইসব দিনরাত্রী, কোন কাননের ফুল, রূপনগর, মফস্বল সংবাদ, অথেলো এবং অথেলো, সহ আরও বেশ কিছু। মঞ্চ ও টিভি নাটকের ক্ষেত্রে খুব বেছে বেছে কাজ করার পক্ষপাতী ছিলেন খালেদ খান। সে কারণেই তার করা বেশির ভাগ নাটকই ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে।
মঞ্চ নাটকে অনবদ্য অবদানের জন্য মোহাম্মদ জাকারিয়া পদক, সেরা অভিনেতা হিসেবে নুরুন্নাহার স্মৃতিপদক, সেরা পরিচালক হিসেবে সিজেএফবি পুরস্কার এবং সেরা টিভি অভিনেতা হিসেবে ‘ইমপ্রেস-অন্যদিন’ পুরস্কার অর্জন করেছিলেন তিনি।