বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় সহযাত্রী হতে চায় যুক্তরাজ্য

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার এলিসন ব্লেইক বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বি-পাক্ষিক সুসম্পর্ক ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশের সঙ্গে বিরাজমান সুসম্পর্ক আরো নিবিড় করতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য সরকার। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানে যুক্তরাজ্য বদ্ধপরিকর।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর পাঁচতারকা হোটেল রোজ ভিউর কনফারেন্স হলে সিলেটের সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথমবারের মতো সিলেট সফরে আসা বৃটিশ হাইকমিশনার সিলেটের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত বৃটিশ নাগরিক রয়েছেন। এর মধ্যে ৯৭ শতাংশই সিলেটের অধিবাসী। শুধুমাত্র সিলেট শহরেই ৪০ হাজার বাড়ি রয়েছে যেগুলোর মালিক বৃটিশ বাংলাদেশিরা।
বরার্ট ব্লেইক আরও বলেন, বৃটিশ নাগরিকরা তাদের এদেশে অবস্থানরত আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন ও বাংলাদেশ সফরে আসেন। এজন্য বৃটিশ বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেও সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশনের কনস্যুলেট হেড হাসিনা রহমান, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন সেকশনের প্রধান ফাওজিয়া ইউনিস, সিলেট অফিসের ইনচার্জ রাহিন মঈন চৌধুরী, বৃটিশ কাউন্সিলের সিলেট অফিস প্রধান কফিল হোসাইন চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদউল্লাহ শহিদুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক, দৈনিক সবুজ সিলেটের বার্তা সম্পাদক ও জাগো নিউজের বিভাগীয় প্রতিনিধি ছামির মাহমুদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মুহাম্মদ তাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
ছামির মাহমুদ/বিএ