স্কুলে চিতাবাঘের হামলায় আহত ৪ (ভিডিও)


প্রকাশিত: ০৯:০৯ এএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

হেলে-দুলে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। কখনো এ কক্ষে তো কখনো অন্য কক্ষে অনায়েসেই প্রবেশ করছে। কখনো বারান্দার এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে হেঁটে যাচ্ছে। সুইমিং পুলের পাশ দিয়ে হেটে যেতেই ঘটলো বিপত্তি।

স্কুলে এভাবে ঘুরে বেড়ানো চিতাবাঘের ছবি তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হন এক সাংবাদিক। রোববার সকালের দিকে ভারতের বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকার ভিবজিওর স্কুলে এ ঘটনা ঘটেছে। স্কুলের সিসিটিভিতে প্রথম ধরা পড়ে চিতার রাজকীয় ঘুরে বেড়ানোর ছবি।

ওই দিন স্কুল বন্ধ থাকায় বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে চিতার হামলায় আহত হয়েছেন চারজন।

আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কুলে চিতাবাঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে, সিসিটিভিতে তা দেখার সঙ্গে সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ খবর পাঠান বন দফতর এবং পুলিশের কাছে। কিছুক্ষণ পরেই স্কুলে এসে হাজির হন বন দফতরের কর্মী এবং স্থানীয় থানার পুলিশ। চলে আসেন বিভিন্ন চ্যানেলের কর্মীরা। চিতাবাঘ দেখতে স্কুলের বাইরে তখন সাধারণ মানুষের প্রচণ্ড ভিড়।

বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় ঘুম পাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করা হয় তাকে। এরপর চিতাবাঘটিকে স্থানীয় পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্কুলে চিতার খোঁজে তল্লাশির সময় দ্রুতগতিতে দ্বিগ্বিদিক ছুটতে থাকে। চিতাবাঘটির হামলায় আহত হয়েছেন এক আলোকচিত্রীসহ চার জন। এদের মধ্যে তিনজন বন দফতরের কর্মী।

Chita

স্কুলের সুইমিং পুলের পাশে ছবি তোলার জন্য চিতাবাঘটির খুব কাছে চলে যান ওই আলোকচিত্রী। বিদ্যুতের গতিতে দৌঁড়ে এসে তাকে আক্রমণ করে চিতাবাঘটি। খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় চিতাবাঘ-মানুষে। এ সময় হাত-পায়ে কামড়ে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হই-হট্টগোল, চিৎকার-চেঁচামেচির মধ্যেই স্কুল থেকে পালিয়ে চিতাবাঘটি আশ্রয় নেয় ঝোপঝাড়ের মধ্যে। বেশ কিছুক্ষণ পরে চিতাবাঘটি পাঁচিল টপকে ফের স্কুলে ঢুকে পড়ে। বন দফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন, এরপরেই চিতাবাঘটিকে ধরতে ঘুম পাড়ানি গুলির সাহায্য নেওয়া হয়।

তবে হোয়াইটফিল্ড এলাকায় চিতাবাঘ হানার ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ২০১২ সালে এই এলাকায় চিতাবাঘ ঢুকে পড়েছিল। গত বছরের জুলাইয়ে কর্নাটকের চিকমাগালুর জেলার টিএমএস স্কুলেও একবার একটি চিতাবাঘ ঢুকে পড়েছিল। জখম করেছিল তিনজনকে। সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষ স্কুল খালি করে দিয়ে খবর পাঠিয়েছিলেন বন দফতরের কর্মীদের। তারা এসে ধরেছিলেন চিতাবাঘটিকে।



এসআইএস/এসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।