শপথ নিলেন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তাদের শপথ পাঠ করান।
নতুন নিয়োগ পাওয়া বিচারপতিরা হলেন, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ও বিচারপতি বজলুর রহমান।
এর আগে রোববার দুপুরের পরে তাদেরকে হাইকোর্ট বিভাগ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। সংবিধানের ৯৫(১) অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি তিন বিচারপতির নিয়োগ দেয়ার পর রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করেন আইন মন্ত্রণালয়। তার আগে গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধান বিচারপতি তাদের নামের প্রস্তাব পাঠিয়ে সুপারিশ করেন।
এখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বাড়তে পারে বেঞ্চের সংখ্যাও। সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর ৭ ফেব্রুয়ারি রোববার রাষ্ট্রপতি তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করেন।
এর আগে রোববার আপিল বিভাগের এই তিন বিচারপতিকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। এ তিনজনকে নিয়োগের পর আপিল বিভাগে মোট বিচারকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট নয়জন।
বর্তমানে আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ ৬ জন বিচারপতি রয়েছেন। অন্যরা হলেন- বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মো. ইমান আলী ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার : ১৯৫৪ সালের ০১ মার্চ জন্ম নেয়া এ বিচারপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে এলএলবি এবং এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৮১ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
২০০১ সালের ০৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত এবং ২০০৩ সালের ০৩ জুলাই স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান মির্জা হোসেইন হায়দার।
বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম : ১৯৫০ সালের ১৫ মার্চ জন্ম নেয়া এ বিচারপতি বিএসসি এবং এমএসসি ডিগ্রি অর্জনের পর এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৭৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
২০০১ সালের ০৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্ত দুই বছর পর তাকে আর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়নি।
এরপর ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এর এক বছর পর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ তাকে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গড়ে ওঠা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১২ সালের ১১ ডিসেম্বর স্কাইপেতে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথপোকথন প্রকাশের পর তিনি পদত্যাগ করে আবার হাইকোর্টে ফিরে আসেন।
বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান : ১৯৫৫ সালের ১২ এপ্রিল বিচারপতি বজলুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
২০০১ সালের ০৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্ত দুই বছর পর তাকে আর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এরপর ২০০৯ সালের ১০ মে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
এফএইচ/জেএইচ/এসএম