রাবি ছাত্রলীগের তিন নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ


প্রকাশিত: ০৭:২২ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলীসহ দুই কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা বোর্ড।

রোববার উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের সভাপতিত্বে শৃঙ্খলা বোর্ড এ সুপারিশ করে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তা চূড়ান্ত হবে।

বহিষ্কারের জন্য সুপারিশকৃত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৭-০৮ সেশনের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের বিবিএ’র শিক্ষার্থী তৌহিদ আল হোসেন তুহিন (রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক), ২০০৭-০৮ সেশনের ফিশারিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী তন্ময় আনন্দ অভি (সহ-সভাপতি) এবং একই বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মামুন-অর-রশিদ (হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি)।

এর আগে, ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুম মুনিরকে উপাচার্য দফতরেই মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় ছাত্রলীগের তৎকালীল সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল হোসেন তুহিন, সহ-সভাপতি তন্ময় আনন্দ অভি ও শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি মামুন-অর-রশিদ।

ওই দিন ছাত্রলীগের হাতে মারধরের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই কর্মচারী। এ ঘটনায় তুহিনকে ওই দিনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। এর দুই দিন পর উপাচার্য নিজস্ব ক্ষমতাবলে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটিসূত্রে জানা যায়, চাঁদা দাবির ঘটনায় প্রধান প্রকৌশলীসহ দুই কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিন ছাত্রের স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য শৃঙ্খলা বোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের কাছে চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে। সিন্ডিকেট পরবর্তীতে তাদের বহিষ্কারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের কনফারেন্স কক্ষে উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এন্তাজুল হক সহ দুইজন সিন্ডিকেট সদস্য, সকল অনুষদের ডীন ও হলের প্রাধ্যক্ষগণ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, ‘রোববার শৃঙ্খলা বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিন শিক্ষার্থীর স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য সিন্ডিকেটে সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এ ব্যাপারে চূড়ান্ত হতে পারে। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত আসার পূর্বে এ ব্যাপারে কিছুই বলা সম্ভব হচ্ছে না।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের পর এবারই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হলো। গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় ছাড়া সাধারণত এই বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয় না। এই কমিটির সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেট সাধারণত পরিবর্তন করে না।

রাশেদ রিন্টু/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।