অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তা ১৩ দিন পর নিজেই থানায় হাজির
অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তা নিজেই থানায় হাজির হয়ে পুলিশকে বললেন অপহরণকারীরা তার চোখ-মুখ বেঁধে মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে গেছে। ব্যাংক কর্মকর্তার নাম এ আর এ আখতারুজ্জামান কচি। তার বাড়ি রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ধাঁনসিড়ি গ্রামে। গত ২১ জানুয়ারি বোয়ালিয়ার মাওলানা কাশেমি মাদ্রাসা রোডের নন্দিতা প্রেস থেকে আখতারুজ্জামান অপহৃত হন বলে তার পিতা এআরএ আফসারুদ্দিনের করা মামলা থেকে জানা গেছে।
আখতারুজ্জামান এক্সিম ব্যাংকের (এসএভিপি) একজন সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা। গত ৬ মাস আগে এক্সিম ব্যাংক বগুড়া শাখা থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে বোয়ালিয়া থানার (ওসি) মো. শাহাদত হোসেন খান জানিয়েছেন।
মামলার সাক্ষী নন্দিতা প্রেসের মালিক মো. জিয়াদুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আখতারুজ্জামান বাড়ি আসলে তার প্রেসেই সময় কাটান। গত ২১ জানুয়ারি দুপুরের দিকে আখতারুজ্জামান তার প্রেসে আসার কিছু সময় পর একটি মাইক্রোবাসে করে কয়েকজন আসে। এরপর তারা তাকে মাইক্রোবাসে তোলে নিয়ে যায়।
মির্জাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, আখতারুজ্জামান কচি মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় থানায় হাজির হয়ে জানান, তাকে অপহরণকারীরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাসির গ্লাস ওয়্যার ফ্যাক্টরির সামনে চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। অপহরণের ১২ দিন পর চোখ বাঁধা একজন মানুষ যে অবস্থায় থাকার কথা তার দৈহিক অবস্থা ও পোষাক দেখে তা মনে হয়নি।
চোখ বাঁধা অবস্থায় মহাসড়কের পাশে কোনো মানুষকে ফেলে রাখলে তার পরনের পোষাকে ময়লা বা ধুলাবালি থাকার কথা। কিন্তু এআরএ আখতারুজ্জামানকে দেখে তেমন কিছু মনে হয়নি বলে ওসি মাইন উদ্দিন জানান। রাত ১টার দিকে তার পিতা ও ভাই ঢাকা থেকে এসে আখতারুজ্জামানকে নিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি। বিষয়টি রহস্যজনক বলেও জানান তিনি।
এআরএ